বাগেরহাটে আওয়ামীলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম, মামলার ৬দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি 

  বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩২ |  আপডেট  : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম হাওলাদার ও তার ছেলে সোহাগ হাওলাদারকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা দায়েরের ৬দিন পার হলেও কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। উল্টো আসামীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে জীবন নাশের হুমকী-ধামকী দিচ্ছে। এই অবস্থায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী আহত আওয়ামী লীগ নেতার ভাই সত্তার হাওলাদার।

মামলার আসামীরা হলেন, মোংলা উপজেলার চিলা কেয়াবুনিয়া এলাকার মৃত সাহেব সরদারের ছেলে মোঃ বেল্লাল সরদার(৫০),চিলা গাববুনিয়া এলাকার মোঃ অলি শেখের ছেলে মোঃ সাইফুল শেখ(৪০) এবং একই এলাকার মোঃ কালাম সরদারের ছেলে মোঃ আলামিন সরদার (৪৫)।

মামলা সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে চিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম হাওলাদারের সাথে বেল্লাল সরদারের বিরোধ চলে আসছিল। যার কারণে বেল্লাল সরদার আব্দুল হালিম হাওলাদারকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। গত ২৫ মার্চ ছেলে সোহাগ হাওলাদারকে নিয়ে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে মোংলায় যাচ্ছিলেন আব্দুল হালিম হাওলাদার। পথিমধ্যে কানাইনগর তালতলা নামক স্থানে পৌছালে বেল্লাল সরদারের নেতৃত্বে মোঃ স্ফাুল শেখ ও মোঃ আলামিন সরদার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে হালিম হাওলাদার ও তার ছেলেকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো শুরু করে। এলোপাথারি পিটানে হালিম হাওলাদার ও তার ছেলে মোটরসাইকেল থেকে নিচে পড়ে যায়। হালিম হাওলাদারের মাথায় কয়েকটি কোপ দেয় হামলাকারীরা। তাদের মারধরে সোহাগ হাওলাদারও গুরুত্বর আহত হন। এক পর্যায়ে হালিম হাওলাদারের পকেটে থাকা ৬০ হাজার টাকা এবং সোহাগের পকেটে থাকা স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।পরে অবস্থার অবনতি হলে হালিম হাওলাদারকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মামলার বাদী আহতের ভাই সত্তার হাওলাদার বলেন, ঘটনার ৬ দিন পরে ১লা এপ্রিল মামলা হয়েছে। তারপরেও কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। বরং আসামীরা মামলা তুলে নিতে বার-বার আমাকে ও আমার ভাইকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে ৭দিনের মধ্যে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দেয় প্রক্যাশ্যে। যেকোন মূল্যে আসামীদের গ্রেপ্তার করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। 

আহত আওয়ামী লীগ নেতা হালিম হাওলাদার বলেন,বেল্লাল সরদার অনেক আগে থেকেই একজন অপরাধী। তার নামে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। একটি মামলায় ১৭ বছর সাজা হয়েছিল। ভয়ঙ্কর অপরাধী বেল্লাল সরদার ও তার লোকজনের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন,মামলার আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত