বাগেরহটে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৬৮, মৃত ২, শনাক্তের হার ৩৫
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২১, ১৯:৫৬ | আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০২
বাগেরহাটে গেল ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ৬৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এই সময়ে মারা গেছে দুই জন। এই নিয়ে বাগেরহাটে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়াল দুই হাজার ৫৫০ জনে। মারা গেলেন ৬৫ জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ১ হাজার ৭৫৪ জন। বাগেরহাট সদর হাসপাতাল সংলগ্ন ৫০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৩ জন। রবিবার (২০ জুন) দুপুরে বাগেরহাট সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সংক্রমন ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের পাশাপাশি খোদ বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবিরও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, হঠাৎ করে আবারও করোনা উপসর্গ নিয়ে মানুষ হাসপাতালে আসছেন। করোনা রোগীর পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ৫০ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ৪৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোগীর পরিমান আরও বৃদ্ধি পেলে আমাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হবে। মুমুর্ষ রোগী আসলে আমাদের আরও বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। কারণ আমাদের এখানে তিনটি আইসিউ শয্যা থাকলেও ভেন্টিলেটর ও প্রশিক্ষিত জনবল না থাকায় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। সংক্রমন প্রতিরোধে সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানান তিনি।
এদিকে সংক্রমন প্রতিরোধে ১৯ জুন থেকে বাগেরহাটে সিনো ফার্মার করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। দুই দিনে জেলার ৯ উপজেলায় নির্ধারিত পেশার অন্তত তিনশ মানুষ সিনো ফার্মার করোনা টিকা গ্রহন করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, গেল ২৪ ঘন্টায় ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৫ শতাংশ। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত পৌছেছে ৬৫ জনে।
সংক্রমনের হার কমাতে স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসনসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থা। চলছে মাইকিং, মাস্ক বিতরণ ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান বলেন, সংক্রমন প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আমরা সব ধরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ সব ধরণের পেশার মানুষের সাথে সভা করেছি। সকলকে যার যার জায়গা থেকে মানুষকে সচেতন করার আহবান জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানও অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত