বাংলাবাজার ঘাটে ৪র্থ দিনেও মানুষের ভীড়
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২১, ১৫:৫৮ | আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫
মঙ্গলবার ভোর থেকে ঢাকামুখী হাজার হাজার মানুষ বাংলাবাজার ফেরিঘাটে এসে জড়ো হতে শুরু করেছে। এদের বেশিরভাগ যাত্রী শ্রমজীবি। তারা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় শিল্প-কলকারখানায় কাজ করেন। ঈদ শেষে ৪র্থ দিনেও কর্মস্থলে ভোর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকার দিকে যেতে স্রোতের মতো বাংলাবাজার ফেরিঘাটে আসছেন। অপরদিকে ঢাকা থেকে এখনো বহু মানুষ গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার জন্য ফেরিতে পার হয়ে বাংলাবাজার ঘাটে এসে নামছে। তবে যাওয়ার তুলনায় আসার সংখ্যা কম। এদিকে সোমবার যে পরিমান ভীড় ছিলো; মঙ্গলবার সকালের দিকে সেই সংখ্যা তুলনামূলক কিছুটা কম। দুপুরের দিকে ভীড় বাড়তে পারে বলে ঘাটের একাধিক সুত্রে জানা গেছে।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, করোনা মহামাররির কারণে লকডাউন চলমান থাকায় লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে ফেরিতে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঘাটে পৌছাতে পথে পথে চরম ভোগান্তর পাশাপাশি ৩/৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে বিকল্প যানবাহনে। যাত্রী চাপ সামাল দিতে শিমুলিয়া থেকে খালি ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে আনা হচ্ছে। ফেরিতে যাত্রীদের গাদাগাদি রোধে প্রশাসন ও আইন শৃক্সখলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। বাংলাবাজার ঘাটে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, নৌপুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন রয়েছে। প্রচন্ড গরম ও স্বাস্থবিধি উপেক্ষা করে প্রতিটি ফেরিতে দেড়-দুই হাজার যাত্রী পদ্মা পার হচ্ছেন। সোমবার দুপুরে প্রচন্ড গরমে বেশ কয়েকজন যাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে ঘাট ও আশপাশ এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইন-শৃক্সখলারক্ষা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। সার্বক্ষণিক ঘাটে কাজ করছে মেডিকেল টিম। তবে স্বাস্থবিধি মানার কোনো বালাই নেই। ফ্রিস্টাইলে মানুষ চলাচল করছে। ফেরিঘাটের সবগুলো ঘাট চালু থাকায় শিমুলিয়া থেকে একযোগে তিন-চারটি ফেরি যাত্রী ও হালকা যানবাহন নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে আসছে। বাংলাবাজার ঘাট থেকে ঢাকামুখী হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়ার দিকে ছেড়ে যাচ্ছে। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে এই মুহূর্তে ১৭ ফেরি সচল রয়েছে। ভোর থেকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঢাকামুখী যাত্রী চাপ বাড়ছে। ঢলের মতো রাজধানীমুখী মানুষ বাংলাবাজার ঘাটে এসে জড়ো হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তাদের পথে পথে ভোগান্তি ও হয়রানী হতে হচ্ছে। বিকল্প যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে যাত্রীদের সাথে বাকবিতন্ডার শেষ নেই। ছোট ছোট বিকল্প যানের শ্রমিকরা ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে। গ্রামের বাড়িতে ঈদ পালন করে অনেকের হাতে তেমন টাকা-পয়সা নেই। তারা সামান্য কিছু টাকা নিয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ রয়েছে। তবে সোমবারের তুলনায় আজ কিছুটা কম। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য তিন শতাধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
বিআইডবিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ম্যানেজার মো: সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফেরি চলাচল ¯স্বাভাবিক রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রী চাপ রয়েছে। শিমুিলয়া ঘাট থেকে সামান্য কিছু যাত্রী ও ছোট-বড় গাড়ি নিয়ে অধিকাংশ ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে ভিড়ছে। ফেরি ঘাটে পৌছামাত্র আনলোড হওয়ার আগেই যাত্রীর হুমকি খেয়ে পড়ছে। তবে সোমবারের তুলনায় আজ এখন পর্যন্ত যাত্রী চাপ একটু কম। আমরা যাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করছি।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত