বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র : আফরিন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৫ |  আপডেট  : ২ মে ২০২৪, ০৯:৫১

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার বলেছেন, বাংলাদেশে দীর্ঘ মেয়াদে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। গত বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ইন্দো-প্যাসেফিক স্ট্র্যাটেজির দুই বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন যে, একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনের উত্থান বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে একসঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা করছে? জবাবে আফরিন আক্তার বলেন, আমরা বিষয়টিতে ফোকাস করছি। আমরা অবিশ্বাস্যভাবে বাংলাদেশের সমাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দিকে ফোকাস করছি। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের প্রথম স্তম্ভ হলো—একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল। তাই আমি দক্ষিণ এশিয়ায় ‘গভর্নেন্স ফান্ডের’ কথা বললাম। আমরা বাংলাদেশের কৃষকদের সঙ্গে কাজ করছি; যারা সরকারি সেবা পেতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও এটি একটি ছোট দিক। আমরা শ্রমিক সংগঠকদের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা সুশীল সমাজের সব পক্ষের সঙ্গেও কাজ করছি। এটি করার ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য হলো—বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে সুশীল সমাজের জন্য জায়গা গড়ে তোলা, তাদের স্থান সংরক্ষণ করা, দীর্ঘ মেয়াদে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, অগ্রাধিকারের বৃহত্তর ক্ষেত্রগুলোতে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যাপকভাবে যুক্ত। আমরা বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক দেখে সত্যিই সন্তুষ্ট হয়েছি, যা সত্যিই অর্থনৈতিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা, আমাদের দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা যা করার চেষ্টা করছি তার অনেক কিছুই প্রতিফলিত করে। বাংলাদেশ অবশ্যই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষায় অন্যতম বৃহত্তম অবদানকারী এবং আমরা সেই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে পেরে খুবই আনন্দিত। তাই আমরা আসলে আমাদের কৌশল, তাদের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে একমত হওয়ার বিস্তৃত পরিসর দেখতে পাই। কিন্তু কীভাবে আমরা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের বিষয়গুলোকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারব সে সম্পর্কে আপনার প্রশ্নের উত্তরে আবারও বলব, আমাদের ফোকাস আসলেই সুশীল সমাজ।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় বিবেচনা করছে কি? ঐ সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আফরিন আক্তার বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভারসাম্যমূলক পরিবেশ তৈরি করার দিকে মনোনিবেশ করতে চাই। তাই গণমাধ্যমের সঙ্গে কাজ করছি। সুশীল সমাজ ও শ্রম সংগঠকদের সঙ্গে অনেক কাজ করছি। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো গড়তে অনেক কাজ চলছে, যা বাংলাদেশকে দীর্ঘ মেয়াদে গণতান্ত্রিক হতে সক্ষম করবে।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত