বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরে সহায়তা করবে চীনা এক্সিম ব্যাংক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৪:২৩ |  আপডেট  : ১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৬

চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান চেন হুয়াইয়ু বলেছেন, তার ব্যাংক অন্যান্য দেশে রফতানির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে চীনা উৎপাদন কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরে সহায়তা করবে। চীনের এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশে বেইজিংয়ের অর্থায়নে অবকাঠামো ও জ্বালানি প্রকল্পগুলোর মূল অর্থায়নকারী হলেও এবারই প্রথম তারা দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে চীনা বেসরকারি নির্মাতাদের বিনিয়োগে সহায়তা করার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) চীনে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এর সাইড লাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান এবং মানবসম্পদ দেশটিকে চীন ও বিশ্বের অন্যান্য স্থানের শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক কোম্পানিগুলোর উৎপাদন কেন্দ্রে রূপান্তর করতে পারে।

তিনি চীনের শীর্ষ বেসরকারি নির্মাতাদের বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, তার সরকার উৎপাদনকারীদের জন্য আকর্ষণীয় সুবিধা দেবে এবং একটি বাণিজ্য করিডোরের ব্যবস্থা করবে।  

উৎপাদনখাতে বাংলাদেশ চীনের পরিপূরক হতে পারে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত নির্মাণ করছে। বাংলাদেশ শুধু অর্থনীতিই নয়, স্থলবেষ্টিত নেপাল ও ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের সুরক্ষার জন্য বড় নতুন বন্দর নির্মাণ করছে।

চেন হুয়াইয়ু বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়ায় কাজ করার জন্য বাংলাদেশ পারফেক্ট লোকেশনে অবস্থিত।

তিনি বলেন, আরও বেশি সংখ্যক চীনা কোম্পানি বিশ্বব্যাপী যাচ্ছে এবং তার ব্যাংক বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ এবং দেশে 'ম্যানুফ্যাকচারিং উন্নয়নে' সহায়তা করবে। দেশের আর্থ-সামাজিক ও টেকসই প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করতে ব্যাংকটি অবকাঠামো নির্মাণেও সহায়তা করবে।

চীনা ও পশ্চিমা নির্মাতাদের আকৃষ্ট করে ভিয়েতনাম কীভাবে তার অর্থনীতিতে রূপান্তর ঘটিয়েছে তা উল্লেখ করে চেন বলেন, চীন থেকে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার প্রয়াসে বাংলাদেশকে তার ব্যবসায়ের পরিবেশ উন্নত করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা ভিয়েতনাম থেকে শিখবো।

বৈঠকে বাংলাদেশি কর্মকর্তারা দাশেরকান্দি পয়ঃনিষ্কাশন প্লান্টের মতো নতুন অবকাঠামো প্রকল্পে এক্সিমের অর্থায়ন ও সহায়তার দ্রুত দাবি জানান। ব্যাংকের কমিটমেন্ট ফি কমানোর জন্যও ব্যাংকটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা, যা প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে।

চেন বলেন, তার ব্যাংক এসব প্রস্তাব খতিয়ে দেখবে। তিনি চীনা মুদ্রা আরএমবিতে আরও রেয়াতি ঋণ নিতে বাংলাদেশকে স্যুইচ করার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা দৃঢ় করতে এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুনরায় মিলিত হতে পারেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি ও পরিবহন উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত