প্লাস্টিকের জেলি মেশানো ৩০ মণ চিংড়ি জব্দ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৩৩ |  আপডেট  : ১১ মে ২০২৪, ০০:৪২

যশোরে র‌্যাব-৬-এর অভিযানে প্লাস্টিকের জেলি মিশ্রিত ৩০ মণ চিংড়ি জব্দ হয়েছে। এ সময় এক ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ অভিযান চালায় র‌্যাব।

র‌্যাব-৬-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোসতাক আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, খুলনা অঞ্চল চিংড়ির জন্য খুবই বিখ্যাত। জিআই পণ্য চিংড়ি বাংলাদেশের হোয়াইট গোল্ড হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। খুলনা থেকে চিংড়ি দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ করা হয় এবং বিদেশেও রফতানি করা হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার লোভে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর দ্রব্য পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করে আসছে। তারা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চিংড়ির রঙ আকর্ষণীয় করছে।

জানা গেছে, র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, চিংড়ি মাছে জেলি পুশ করে ওজন বৃদ্ধি করে বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে শ্যামনগর থেকে শেরপুর নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার দিনগত রাত ৮টা ১০ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দলটি যশোর কোতয়ালি মডেল থানাধীন মণিহার মোড়ে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে চিংড়ি মাছ ভর্তি হিমেল সীমান্ত নামে বাস থামিয়ে চেক করে। যশোর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার সমন্বয়ে এ অভিযান চলে। এ সময় একটি বাসে ৩০ মণ ক্ষতিকর দ্রব্য পুশ করা চিংড়ি পাওয়া যায়। মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা মোতাবেক মোবাইল কোর্টে ওই বাসের মালিক অনিল বাচ্চুকে ত্রিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয় এবং ৩০ মণ চিংড়ি জব্দ করা হয়। জব্দ চিংড়ি মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। জরিমানার অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তাৎক্ষণিক প্রদান করায় সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

খাদ্য ও পুষ্টিবিদরা বলছেন, চিংড়ি মাছের ভেতরে যে জেলি পাওয়া যায় তা পুরোটাই প্লাস্টিক। এ ছাড়া সাগু বা অনেক সময় সাদা পাথর এবং ধাতব পদার্থও পাওয়া যায়। আর এগুলো খেলে কিডনি ও পাকস্থলীর জটিলতা তৈরি হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত