প্রয়োজনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনাবাহিনী কাজ করবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২২, ১৫:০৪ | আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:১৩
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে মাদক আসছে— এমন তথ্য রয়েছে সরকারের কাছে। এই মাদক চোরাচালান বন্ধ করতে ক্যাম্পের ভেতরে এবং বাইরে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কাজ করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ৫ম সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মোবাইল ট্র্যাক করা হবে, যেন মোবাইল ব্যবহার করে তারা কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করতে পারে।’
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শিগগিরই হবে বলে আশা প্রকাশ করছি। প্রত্যাবাসনের জন্য আগে থেকেই সরকার যেভাবে চেষ্টা করেছিল, এখনও সেটা অব্যাহত আছে।’
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন–পীড়নের মুখে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এর পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা নিতে চেয়েছে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সে বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখছি। তাদের শর্ত কি, কিভাবে নেবে সে বিষয়ে প্রস্তাব এখনও আমাদের কাছে আসেনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে। এরকম যদি কেউ আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে আমরা তাদের বলবো অধিক সংখ্যক নেওয়ার জন্য।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা প্রথম দিন থেকে কথা বলছি। তখন ক্ষমতায় থাকা সু চির সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে একটি ফর্মুলা দিয়েছিলেন কিভাবে রোহিঙ্গারা যেতে পারবে। এ বিষয়ে কফি আনানও ফর্মুলা দিয়েছেন। কিন্তু এগুলোর একটিও আলোর মুখ দেখেনি সেটা আপনারা জানেন। যাতে এগুলো দ্রুততার সঙ্গে শেষ হয়, সেজন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা দ্বিপাক্ষিক ত্রিপাক্ষিক বহুপাক্ষিক আলোচনার টেবিলে যাচ্ছি, প্রস্তাব রাখছি। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা আশা করি, এ সমস্যা আমরা দ্রুত শেষ করতে পারবো।
রোহিঙ্গাদের সাহায্য সহযোগিতা কমানোর বিষয়ে একটি কথা শোনা যাচ্ছে, এটা নিয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা ১২ লাখ রোহিঙ্গার শুধু বাসস্থানের ব্যবস্থা করিনি, আমরা অনেক কিছু তাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাদের সরানোর দাবিটা জোরদার করছি। আমাদের সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যতো তাড়াতাড়ি পারি তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে। আমাদের কাছে যে খবর আছে এখনও সে ধরনের পরিস্থিতি আসেনি। তবে আমাদের আপিল থাকবে তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, তারা যেন না খেয়ে মারা না যায়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত