প্রথমবার এসেই চমক, আইপিএলের ফাইনালে গুজরাট

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২২, ১২:০৪ |  আপডেট  : ৪ মে ২০২৪, ২৩:৫১

শেষ ওভারে প্রয়োজন ১৬ রান। রাজস্থান র‌য়্যালসের হয়ে বোলিং করতে আসলেন প্রাসিদ কৃষ্ণা। ব্যাটিংয়ের স্ট্রাইকিং প্রান্তে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার, কিলার মিলার খ্যাত ডেভিড মিলার। ৩৫ বলে এরই মধ্যে যিনি হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেছেন।

প্রাসিদ কৃষ্ণার প্রথম বলটিকে অফস্ট্যাম্পের ওপর থেকেই লং অনের ওপরে তুলে দেন মিলার। সোজা গিয়ে আছড়ে পড়লো গ্যালারিতে। পরের বলটি ছিল গুড লেন্থের। মিডল স্ট্যাম্প বরাবর। বাউন্স উঠে এসেছিল প্রায় কোমর সমান। কিন্তু মিলারের এসব দিকে তাকিয়ে লাভ নেই। ডিফ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন বাউন্ডারির ওপারে। আবারও ছক্কা।

শেষ চার বলে প্রয়োজন ৪ রান। ডেভিড মিলার ঝুঁকি নিতে রাজি নন। অপেক্ষাতেও নন। এবার ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দিলেন সোজা গ্যালারিতে। ৭ উইকেটের অবিশ্বাস্য এক জয় পেয়ে গেলো রাজস্থান রয়্যালস। হাতে তখনও তিনটি বল বাকি।

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে টানা চার ছক্কা মেরে জিতেছিলেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। ২০২২ সালের আইপিএল কোয়ালিফায়ার-১ এ টানা তিন ছক্কা মেরে জিতলেন ডেভিড মিলার। সে সঙ্গে গুজরাট টাইটান্সকে তাদের অভিষেক আসরেই পৌঁছে দিলেন আইপিএলের ফাইনালে।

জস বাটলারের ৮৯ রানের ঝড়ের ওপর ভর করে গুজরাটের সামনে ১৮৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়ে দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। ৫৬ বলে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন বাটলার। সাঞ্জু স্যামসন করেন ৪৭ রান।

জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট হারিয়ে বসে গুজরাট। প্রায় ম্যাচেই তিনি গুজরাটকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। কিন্তু আজ শূন্য রানেই আউট হয়ে গেলেন তিনি।

এরপর জুটি বাধেন শুভমান গিল এবং ম্যাথ্যু ওয়েড। দু’জনের ব্যাটে ৭২ রানের জুটি গড়ে ওঠে। শুভমান গিল একটু চড়াও হয়ে খেলছিল। কিন্তু ৮ম ওভারের ৪র্থ বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রানআউটের শিকার হন শুভমান। ২১ বলে ৩৫ রান করে আউট হন তিনি।

ম্যাথ্যু ওয়েড ৩০ বলে আউট হন ৩৫ রান করে। ৮৫ রানে ওয়েড আউট হন ওয়ার জুটি বাধেন ডেভিড মিলার এবং হার্দিক পান্ডিয়া। শুরুতে মিলার ছিলেন খুবই স্লো। ১০ বল খেলে ৩ রান করতেও পারেননি- এমন অবস্থা ছিল তার। কিন্তু উইকেটে থিতু হয়ে হঠাৎ করেই জ্বলে উঠলেন। চার আর ছক্কায় মাতিয়ে তুললেন ইডেন দর্শকদের।

৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি যখন পূরণ করেন, তখন ৭ বলে প্রয়োজন ১৬ রান। ১৯তম ওভারের শেষ বলে আর রান নিলেন না পান্ডিয়া। পরের ওভারে স্ট্রাইকে থাকলেন মিলার। এরপরের ইতিহাস তো সবার জানা। টানা তিন বলে তিন ছক্কা। ৩৮ বলে ৬৮ রান করে তিনি থাকলেন অপরাজিত। মোট ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার ছিল মিলারের ব্যাটে। ম্যাচ সেরাও হলেন তিনি।

২৭ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। কোনো ছক্কার মার মারেননি। তবে ৫টি বাউন্ডারি মেরেছেন পান্ডিয়া। ট্রেন্ট বোল্ট আর ওবেদ ম্যাককয় নেন ১টি করে উইকেট।

হারলেও বিদায় নিচ্ছে না রাজস্থান রয়্যালস। তারা আরও একটি সুযোগ পাবে। ইলিমিনেটরে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু আর লখনৌ সুপার জায়ান্টসের ম্যাচের বিজয়ী দলের সঙ্গে কোয়ালিফায়ার-২ তে মুখোমুখি হবে রাজস্থান।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত