পুলিশ হত্যা করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বিএনপি: ডিবি প্রধান

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৪৪ |  আপডেট  : ১৭ মে ২০২৪, ১৬:১৬

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, পুলিশ হত্যা, পিটানো মানবাধিকারের লঙ্ঘন। বিএনপি নেতা কর্মীরা পুলিশ হত্যা করে পুলিশের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

বিএনপির অভিযোগ পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরাতো আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের কথা বলতে পারি না। যারা তথাকথিত মানববন্ধন করছে তারা অনেক কিছুই বলতে পারে, এটা ঠিক না। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের বাঁচার অধিকার ও আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে। আমি পুলিশ কিন্তু আগে তো মানুষ। আমারওতো অধিকার আছে, আমার কি বাঁচার অধিকার নেই?

যে পুলিশ জনগণের জান-মাল রক্ষায় নিয়োজিত, তথাকথিত রাজনীতির নামে সে পুলিশের ওপর নির্মমভাবে হামলা করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে, যেসব ছবি সবার কাছেই আছে। এমনকি পুলিশ হাসপাতালটাতে ভাঙচুর করে অ্যাম্বুলেন্সগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন না? আমরা কার কাছে বিচার চাইব?

২০১৪ সালেও পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একটি দল বা গোষ্ঠী যারা এ কাজটি করেছেন তারাই জাতিসংঘের সব আর্টিকেল লঙ্ঘন করছেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি ২৮ অক্টোবরের আগেও নানা কার্যক্রম চালিয়েছে। ২৮ অক্টোবরের পরে যখন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছিল, এসব কার্যক্রমের জন্য তারা যুবদল ছাত্রদলকে আট ভাগে ভাগ করেছে।

তাদের সেসব নেতা পুলিশকে পিটিয়েছে, পুলিশের গাড়িতে হামলা করেছে। কোনো সভ্য জাতি এমন কাজ করতে পারে না, তারা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। শুধু হাসপাতালে হামলাই করেনি অ্যাম্বুলেন্সগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের অনেককেই ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।

সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি। একই সময়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করছিল আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে মতিঝিলে সমাবেশ করে জামায়াতে ইসলামী।

সমাবেশ চলাকালে এক পর্যায়ে দৈনিক বাংলা মোড়, কাকরাইল ও পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের এক কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়া সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মারা যান আরও একজন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত