পাল্টা হামলায় প্রথম সাফল্যের দাবি ইউক্রেনের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৩, ১৪:২৬ |  আপডেট  : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯

রাশিয়ার দখলদার বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে শুরু করা পাল্টা হামলায় প্রথম সাফল্যের দাবি করে কিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করার কথা জানিয়েছে ইউক্রেইন।

দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে তাদের সেনারা তিনটি গ্রামে অগ্রগতি অর্জন করে সেগুলো মুক্ত করেছে বলে রোববার জানিয়েছে তারা।

কিইভের বাহিনীগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করেছে, সেগুলোতে তাদের দোনেৎস্ক অঞ্চলের গ্রাম ব্লাহদাতনে বোমায় বিধ্বস্ত একটি ভবনে ইউক্রেইনের পতাকা স্থাপন করতে আর সংলগ্ন নেসকুচনে গ্রামে তাদের ইউনিটের পতাকা নিয়ে ছবির জন্য পোজ দিতে দেখা গেছে।

দেশটির টেলিভিশনে ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীর ‘তাভরিয়া’ সেক্টরের মুখপাত্র ভ্যালেরি শারশেন বলেছেন, “পাল্টা আক্রমণের পদক্ষেপের প্রথম ফল দেখতে পাচ্ছি আমরা, স্থানীয় ফলাফল।”

পরে ইউক্রেইনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার জানান, তাদের বাহিনীগুলো দক্ষিণাঞ্চলের পরবর্তী গ্রাম মাকারিভকাও ‘দখলমুক্ত’ করেছে এবং ফ্রন্টটির দুটি দিকে ৩০০ ও ১৫০০ মিটারের মতো অগ্রসর হয়েছে।

টেলিগ্রামে মালিয়ার বলেছেন, “ওই দুটি দিকে আমাদের বাহিনীগুলো আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে থাকলেও কোনো অবস্থান হারায়নি।”

যুদ্ধক্ষেত্রের এসব প্রতিবেদনের সত্যাসত্য রয়টার্স যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।

শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনী পাল্টা হামলা শুরু করলেও তারা রাশিয়ার প্রতিরক্ষা লাইনে ভাঙন ধরাতে পারেনি আর হামলাকারীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার রাত্রিকালীন ভিডিও বক্তৃতায় নিজের সেনাদের প্রশংসা করলেও সেসব এলাকায় লড়াই হচ্ছে বলে জানা গেছে নির্দিষ্টভাবে সেগুলোর উল্লেখ করেননি।

ইউক্রেইন দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর অধিকৃত ভূমিগুলো পুনরুদ্ধারে কিইভ দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে বলে এ পর্যন্ত সবচেয়ে জোরালো ইঙ্গিত শনিবার দিয়েছিলেন জেলেনস্কি। ‘পাল্টা আক্রমণ ও প্রতিরক্ষামূলক কর্মকাণ্ড’ চলছে বলে তখন জানিয়েছিলেন তিনি।

কিইভের কর্মকর্তারা তাদের অভিযান চলাকালে কঠোর নীরবতার জারি করেছে এবং অভিযানের বিষয়ে আপস করতে হতে পারে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ না করতে ইউক্রেইনীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

কিইভ থেকে আসা খুব অল্প তথ্য ও যুদ্ধক্ষেত্র থেকে হওয়া স্বল্প স্বাধীন প্রতিবেদনের কারণে লড়াইয়ের ক্ষেত্রটিতে আসলে কী ঘটছে তা নিশ্চিত হওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে আছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রধান শহর খেরসনের আরও পশ্চিমে কাখোভকা বাঁধ ভেঙে পড়ার পর ইউক্রেইন তার পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। ওই বাঁধ ধসের কারণে খেরসনসহ নিপ্রো নদীর নিম্নাঞ্চলের বহু এলাকা ডুবে যায় এবং নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থান নিয়ে থাকা রুশ বাহিনীকে তাদের অবস্থান ছেড়ে কিছুটা পেছনে চলে যেতে হয়।

এই বাঁধ ধসের জন্য ইউক্রেইন ও রাশিয়া পরস্পরকে দায়ী করেছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত