পানিফল চাষে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন কৃষক মোজাম্মেল

  রশিদুর রহমান রানা শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ 

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১৩:৪২ |  আপডেট  : ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:৩৩

বগুড়ার শবিগঞ্জ উপজলোর ভাগকোলা গ্রাম র্বগার নেয়ার সুযোগ থাকলওে র্অথরে অভাবে অন্য ফসল চাষ করার সার্মথ্য ছলি না। এ জন্য অল্প কছিু পততি জমি র্বগা নিয়ে পানিফল চাষ শুরু করনে। এভাবে কেটে গেছে প্রায় ৩০ বছর। এতদনিরে সাধনায় এখন পানফিল চাষে পরবিারে এসেছে স্বচ্ছলতা। এ কথাগুলো জানয়িছেনে বগুড়ার শবিগঞ্জ উপজলোর মোকামতলা ইউনয়িনরে ভাগকোলা গ্রামরে ভূমহিীন কৃষক মোজাম্মলে হক (৬৫)। বসতভটিা ছাড়া তার কছিু নইে। তবে বাড়রি ধারে রয়েছে বেলতলা বিল। করতোয়া নদীর তীরর্বতী এ বিলেই দীর্ঘদিন ধরে পানিফলের আবাদ করছনে তিনি। 

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মোজাম্মলে হক বলনে, ৩০ বছর ধরে পানিফলের চাষ করি। আগে অল্প জমিতে পানফিলরে আবাদ করতাম। গত ৪ বছর থেকে ৫ বিঘা জমি র্বগা নিয়ে আবাদ করছি। মোজাম্মলেরে পরবিাররে সাত জনের সংসার চলে এ পানিফল চাষ করেই। শারীরকি অসুস্থতার কারণে আগের  মতো পরশ্রিম করতে পারনে না তিনি। তবে তার নাতি সোহাগ (২২) এখন কৃষকিাজে সাহায্য করছনে। গত চার বছর ধরে পানিফল চাষ করে গড়ে প্রায় লাখ  টাকার আয় করছনে তিনি। 

মোজাম্মলে হক জানান, পানিফল চাষে খরচ তুলনামূলক কম। কিন্তু পরিশ্রম বেশি। কারন এ ফল পানিতে চাষ করতে হয়। জলাবদ্ধ জমি ছাড়া পানফিল চাষ করা যায় না। এ বছর ৫ বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে ঘরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। প্রতি প্রতি বিঘতে ২০ থেকে ২২ মণ পানিফল উৎপাদন হয় বলে জানান তিনি।এখন র্পযন্ত ৪০ হাজার টাকার পানিফল বিক্রি করছেনে। সব মিলিয়ে এবার সোয়া লাখ টাকার পানফিল বিক্রি করতে পারবনে বলে আশা করছনে মোজাম্মলে। 

উপজলো কৃষি অফসি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শিবগঞ্জ এলাকায় খুব বেশি মানুষ পানিফলের চাষ করনে না। মোজাম্মলে হক ছাড়া আর দুই থেকে চারজন এই ফসল করনে। এ বছর উপজলোয় ৩ একর জমিতে পানিফলের চাষ হচ্ছে। শিবগঞ্জ উপজলো থেকে গাইবান্ধা কয়কেজন পাইকারি ব্যবসায়ী পানিফল প্রতিবছর কিনে নিয়ে যান। তারা জানান, পানিফল চাষরে মৌসুম আসার আগইে শিবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার র্অধ শতাধকি চাষিকে আমরা বিনিয়োগ করছি। ফলন আসার পর থেকেই চাষিদের কাছে থেকে ফল সংগ্রহ করা হয়। কৃষক মোজাম্মলে হক আরও বলনে, আমি ৩০ বছর ধরইে জমি র্বগা নিয়ে পানিফল চাষ করে আসছি। কিন্তু সরকার বা কৃষি অধদিপ্তর থেকে সুযোগ সুবধিা পেলে আরও বৃহৎ পরসিরে পানিফল চাষ করা সম্ভব হবে।

শিবগঞ্জ উপজলো কৃষি র্কমর্কতা আল মুজাহিদ সরকার বলেন, অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় পানিফল চাষ বেড়েছে তাছাড়া জলাবদ্ধ জমতিইে এই ফলের চাষ হয় ভোগান্তি কম আবার ফলনও বেশি। ফল চাষের জমি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ডোবা, বদ্ধ জলাশয় বা মাছের ঘেড়ের  সুবধিাজনক স্থান। এ ছাড়া সামান্য লবণাক্ত ও মিষ্টি পানিতে পানিফল চাষ করা যায়। তিনি জানান, হেক্টর প্রতি পানিফলের উৎপাদন প্রায় ৩০ মেট্রিক টন পাওয়া যায়। উৎপাদতি ফল বিক্রি করে প্রতি বঘিায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়ে থাকে। সুযোগ-সুবধিার বিষয়ে এই কৃষি র্কমর্কতা বলনে, কোন চাষি আমাদরে সাথে যোগাযোগ করলে তাকে চারা বিতরণে যথাসাধ্য সহায়তা করা হবে। উল্লখ্যে, পানিফল মূলত একটি র্বষজীবী জলজ উদ্ভদি। অনেকে একে শিংগাড়া  নামে অবহিতি করা হয়।  এটি  ৫ মিটার র্পযন্ত লম্বা হতে পারে। পানির নিচে মাটিতে এর শিকড় থাকে এবং পানির উপর পাতা গুলি ভাসতে থাকে। ফলগুলি শিং এর মতো কাটা থাকে বলে এর শিংগাড়া নামকরণ করা হয়েছে বলে মনে হয়। পানিফল কাঁচা, সিদ্ধ দুভাবেই খাওয়া যায়।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত