পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে উঠে যাচ্ছে সুন্দরবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২২, ১৫:২৪ | আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৪
দীর্ঘ তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক ও জেলেদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে উন্মুক্ত হচ্ছে সুন্দরবনের দ্বার। পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে উঠে যাচ্ছে সুন্দরবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা। কাল থেকে পুনরায় পর্যটকরা যেতে পারবেন বিশ্বের বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনে। বনের ওপর নির্ভরশীল জেলেরাও যাবেন তাদের জীবিকার সন্ধানে। তবে অভয়ারণ্য এলাকায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই বহাল থাকবে।
ইতোমধ্যে বনজীবীরা সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য বন বিভাগ থেকে বিএলসি, পাস (অনুমতিপত্র) নবায়ন করেছেন। প্রস্তুত করছেন মাছ ধরার নৌকা ও জাল।
আশা হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা শেষে সড়ক পথে পদ্মা সেতু পার হয়ে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণে আসবে। এমন আশা নিয়ে আগে ভাগেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন সুন্দরবনের ট্যুর অপারেটর ও ট্রলার মালিকরা। পর্যটকদের সল্প খরচে সুন্দরবন ভ্রমণে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন ট্যুর প্যাকেজ।
কষ্টে দিন কেটেছে সুন্দরবন তীরের কয়েক লাখ বনজীবীর। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় সম্পূর্ণ সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল এসব জেলে ও বনজীবীরা গত তিন মাস খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করেছেন। তবে পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে উঠে যাচ্ছে সেই নিষেধাজ্ঞা। আবারো আগেরমতো বন বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে যেতে পারবেন তারা।
এদিকে সুন্দরবনের ট্যুর অপারেটর ও ট্রলার মালিকরাও পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশের প্রস্তুতি নিয়েছেন। বেশকিছু ট্রলারের অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে। ছুটির দিনে স্থানীয় রিসোর্টগুলোতে অগ্রীম রুম বুকিং করেছেন পর্যটকরা। পর্যটক মৌসুম ছাড়াও পদ্মা সেতু পার হয়ে এখন সারাবছর সুন্দরবনে পর্যটক আসবে। এজন্য আমরা এজন্য আশাবাদী ট্রলার মালিকরা।
পশ্চিম সুন্দরবনের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ইকবাল হুসাইন চৌধুরী বলেন, পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে বনজীবী ও পর্যটকদের জন্য পাস,পারমিট দেয়া শুরু হবে। ইতোমধ্যে নির্ধারিত স্টেশনগুলোকে বিএলসি নবায়নের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাল থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন পর্যটকরা। একইসঙ্গে সুন্দরবনের বনজসম্পদ আহরণের জন্য বনে যাবেন বনজীবীরা। তবে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য ঘোষিত এলাকায় প্রবেশে নিশেধাজ্ঞা আগের মতোই বহাল থাকবে।
তিনি বলেন, বনের পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্লানিংয়ের সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদী-খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। তবে চলতি বছর এই সময় একমাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করে বন মন্ত্রণালয়। এই তিন মাস মাছ আহরণ বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত