পলাতক আসামি তারেক বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে: প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৫৫ |  আপডেট  : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার সব ধরনের চক্রান্ত মোকাবিলা করে দেশকে এমন একটি অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে যাতে বিশ্বকে সম্মান করতে হবে, অথচ পলাতক আসামি তারেক রহমান বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি শনিবার এখানে একটি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগদান করে বাংলাদেশের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পলাতক আসামী তারেক রহমান বিদেশে অবস্থান করে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব ধরণের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে পেরেছি।

 শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদচিহ্ন অনুসরণ করে তাঁরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। ‘সুতরাং, এখন থেকে কেউ আমাদের অবহেলা করতে পারবে না। বিশ্ব অবশ্যই আমাদের সম্মান করবে কারণ, আমরা আমাদের দেশকে এমন অবস্থানে নিয়ে এসেছি,’ তিনি যোগ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে আজকের অবস্থানে পৌঁছে দিতে তার সরকারকে বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসংযোগ, প্রাণনাশের জন্য তাঁর ওপর হামলার মতো অনেক বাধা-বিপত্তি ও ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর দায়িত্ব গ্রহণ করে তাঁরা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন, অথচ অতীতে বিএনপি-জামায়াত চক্র দুর্নীতি ও ঋণ খেলাপির সংস্কৃতি চালু করে নিজেদের ভাগ্য তৈরি করেছে।

 তাঁর সরকার বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এসব অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রবাসীরা এইসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করলে তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে, তিনি যোগ করেন।

বাংলদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অতীতে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে প্রবাসী বাংলাদেশীরা জনগণের পাশে ছিল। প্রধানমন্ত্রী সাফল্যের সংগে কভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলা করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি জীবন ও জীবিকা রক্ষায় তাঁর সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ, চাকরিজীবী, শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীসহ সকলকে বিনামূল্যে টিকা দেয়া হচ্ছে, যা অনেক উন্নত দেশও করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী করোনা থেকে নিজেকে রাক্ষায় মাস্ক পড়তে আবারও দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।

দেশের বৃহত্তম প্রকল্প পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে চক্রান্তের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংক ঘুষের অভিযোগ আনে। কিন্ত কানাডার ফেডারেল কোর্টে তা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়। তিনি বলেন, দেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে তাঁর সরকারের দৃঢ় অবস্থানের ফলে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।  

শেখ হাসিনা সামরিক একনায়ক জিয়াউর রহমানসহ ১৯৭৫ পরবর্তী সরকারগুলোর দুঃশাসনের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সমাজে একটি অভিজাত শ্রেণি সৃষ্টি করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারের নামে জিয়াউর রহমান শত শত সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে। নিহতদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা তাদের লাশও পায়নি। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এতিমদের অর্থ আত্মসাতের দায়ে আদালতে দন্ডিত। তাদের পুত্র তারেক রহমান ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দন্ডিত।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সরকার একজন সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে। তার অপরাধ ছিল সে একটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড আলামত হিসেবে রেখে দিতে চেয়েছিল। যে পুলিশ অফিসার ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরে তাকে চাকরিচ্যুত করে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত