তিনটি কারণ চিহ্নিত : ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়াতে ১৪টি সুপারিশ
পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়েতে বাস দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহতঃ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৩, ১৬:৫০ | আপডেট : ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৪
পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়েতে বাস দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ঘটনায় বুধবার সকালে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়াতে ১৪টি সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানাগেছে,ইমাদ পরিবহনের গাড়িটির ফিটনেস না থাকা, চালকের কোন লাইসেন্স না থাকা এবং বৃষ্টিভেজা সড়ক এই তিনটি কারন উঠে এসেছিল তদন্ত প্রতিবেদনে । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান পল্লব কুমার হাজরা। তিনি জানান, এই দুর্ঘটনার পরের দিন সোমবার থেকে তদন্ত কাজ শুরু করেন এবং মঙ্গলবার শেষ করেন। তদন্তকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, স্থানীয়দের সাক্ষাতগ্রহণ, বাসটির নিহত চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের পরিবারের সদস্য ও বাসটির মালিকপক্ষের সাথে আলাপের ভিত্তিতে তারা এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। প্রতিবেদনে, দুর্ঘটনা কবলিত ইমাদ পরিবহনের বাসটির রেজিস্ট্রেশন সাময়িক স্থগিত এবং ফিটনেসের মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকার পরও তা এক্সপ্রেসওয়েতে চালানো, চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স না থাকা ও বৃষ্টিভেজা পিচ্ছিল রাস্তায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে চিহ্নিত করেছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান পল্লব কুমার হাজরা বলেন, “পদ্মাসেতু এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি খুব দ্রুতগতিতে চলাচল করে। তাই এই সড়কে দুর্ঘটনা বন্ধে দ্রুতগতি সম্পন্ন গাড়ির যাত্রীদের সিটবেল্ট পরিধান নিশ্চিত, গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারী বৃদ্ধিরও সুপারিশ করা হয়েছে। “এ ছাড়া প্রতিটি গাড়িতে এবং মহাসড়কে জিপিএস ট্র্যাকার রাখা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও অনলাইনে মনিটরিং করার ব্যবস্থা রাখাসহ ১৪টি সুপারিশ করে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।” রবিবার সকালে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় পদ্মাসেতু এক্সপ্রেসওয়ের মিবচর উপজেলার কুতুবপুরে খুলনা থেকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ১৯ যাত্রী মারা যান। মাদারীপুর জেলা প্রশাসন এই ঘটনায় চার সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলায় বুধবার সকালে প্রতিবেন দাখিল করা হয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত