পঞ্চগড়ে ১৫ টাকায় চাউল পাচ্ছেন ৫০  হাজার মানুষ  

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৫ |  আপডেট  : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৫

পঞ্চগড়ে শ্রমজীবী ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু রয়েছে। পঞ্চগড় জেলায় এর উপকারভোগির পরিমান ৫০ হাজারের বেশী। বছরে পাঁচ মাস পেয়ে থাকেন ১৫ টাকা কেজি দরে এই চাউল।

দেশের জনগোষ্ঠি বৃদ্ধির সাথে মূল্যস্ফীতি ও বেড়েছে। নিত্যপন্যের মধ্যে চাউল হচ্ছে প্রতিদিনের অতি প্রয়োজনীয় পন্য। গড়ে একটি পরিবারে দুই থেকে চারকেজি চাউল প্রয়োজন। পরিাবরের সদস্যরা কম হলেও দুই বেলা ভাত খেয়ে থাকেন। এতে চাউলের চাহিদা শতভাগ। সরকার ওএমএম এসএর মাধ্যমে যেমন চাউল ও আটা বিক্রয় করছেন এতে সুবিধা নিয়ে আসছেন হতদরিদ্র ছাড়া নি¤œ ও মধ্যবিত্তরাও।  তবে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির মাধ্যমে সরকার ২০১৬ থেকে সমাজের অবহেলিত , দুঃস্থদের জন্য  ডিলার নিয়োগের মাধ্যমে ১৫ টাকা কেজি দরে  দিয়ে আসছেন। পঞ্চগড় সদর উপজেলায় মোট ডিলার সংখ্য ২৬ জন,  বোদা উপজেলায় ২০ জন, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ২০ জন, আটোয়ারী উপজেলায় ১২ জন ও তেতুঁলিয়া উপজেলায় ১৪ জন ডিলার রয়েছে।এতে উপকারভোগি রয়েছে ৫০ হাজার ৯৫৪ জন। তারা পাচ মাস ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি  চাউল পান।

জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলায় এক মাসে চাউলের বরাদ্দ ১৫২৮ দশমিক ৬ মেট্রিক টন। যার প্রতি কেজি সরকারী দর ৪৫ টাকা। সে অনুপাতে এক মাসে যার সরকারি মূল্য দাঁড়ায় ৬কোটি ৮৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯ শত টাকা। ডিলারগন প্রতিকেজি সরকারি ভাবে এই চাউল ক্রয় করেন ১৩ টাকা কেজি। এতে এক মাসে ভূর্তকি যায় ৪ কোটি ৮৯ লাখ ১৫ হাজার ৮৪০ টাকা। তবে বছরের মার্চ এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে উপকারভোগিরা এই ১৫ দরে চাউল নিতে পারেন। এই পাঁচ মাসে সরকারের কোষাগার থেকে ২৪ কোটি ৪৫ লাখ ৭৯ হাজার ২০০ শত টাকা ভূতি প্রদান করা হচ্ছে।

জেলা খাদ্য নিয়ণÍ্রক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ইউএন কর্তৃক প্রতিটি পয়েন্টে ১জন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া আছে। পাশাপাশি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব পয়েন্ট পরিদর্শন করেন। তবে ট্যাগ অফিসার বাধ্যতামূলক বিতরণ কার্যক্রম শুরুর আগে উপস্থিত থাকতে হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত