পঞ্চগড়ে সৃজনশীলতা ও ঐতিহ্য নিয়ে কর্মশালা
প্রকাশ: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:১৭ | আপডেট : ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫১
পঞ্চগড়ে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গড়ে উঠবে ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সৃজনশীল কর্ণার। আর এই কর্ণার গড়ে তুলবে শিক্ষার্থীরা। তারাই এর পরিকল্পনা ও পরিচালনা করবে। জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগে সবধরনের সহযোগিতা দেবে। ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সৃজনশীল এই কর্ণার প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে কর্মশালার মাধ্যমে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। শনিবার দিনব্যাপি দ্বিতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় সার্কিট হাউসে। জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী এই কর্মশালা পরিচালনা করেন। কর্মশালায় শিক্ষার্থীরা কর্ণার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীরা এসময় বলেন প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গড়ে উঠবে থ্রিডি আর্কিটেকচার মডেলে। এই কর্ণারে থাকবে জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির নানা বিষয়। থাকবে অডিও স্টেষন। এই অডিও স্টেষণে স্থানীয় ভাষা ও লোক সংস্কৃতির নানা অনুসঙ্গ রেকর্ড করা থাকবে। দর্শনার্থী, গবেষক বা শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অডিও স্টেষন নানা বিষয় আহরন করতে পারবে। কর্ণারে থাকবে টাইম ট্রাভেল ওয়াল,অভিজ্ঞতার দেয়াল, আমি এসেছি’ শিরোনামের দেয়ালিকা,ঐতিহাসিক কর্ণার,চিত্রকর্ম,জোন ফর ইন্টারেক্টিভ লার্নিং,জেলার আদর্শ ব্যাক্তিদের পরিচয় ও কর্মইতিহাস। পঞ্চগড় জেলার নদ নদীর নামে ৫ টি দলে সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কর্মশালায় অংশ নেন। জেলা প্রশাসক এসময় বলেন প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য, সংস্কৃতি নিয়ে একটি বিশেষ জ্ঞান ও আনন্দ ভিত্তিক কর্ণার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন। এই কর্ণার কেমন হতে পারে, কর্ণারে কিকি থাকতে পারে এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদের প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা কর্ণার যখন তাদের মতামতের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে তখন তাদের স্মৃতি ও জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে। একই সাথে গড়ে ওঠা কর্ণারটি সংরক্ষণ ও পরিচালনায় তাদের অপরিসিম আন্তরিকতা থাকবে।
কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) সাহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন ।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত