পঞ্চগড়ে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয় করণ ও শিক্ষা কমিশনের দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশ: ২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:১৩ | আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৭
শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণ (বিদ্যালয় ও মাদরাসা) ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবীতে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকেরা। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের (মাধ্যমিক ও মাদরাসা) আয়োজনে শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পাশে দাড়িয়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার তিন শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি পঞ্চগড়ের সভাপতি ও বেগম খালেদা জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও রাজনগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান জহিরুল ইসলাম জহির, সদর উপজেলার সিপাইপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল করিম মন্ডল, হাড়িভাসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামস কিবরিয়া প্রধান, সুরিভিটা দাখিল মাদরাসার সুপার সাইফুল্লাহ, আটোয়ারী উপজেলার লক্ষীপুর ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, শিক্ষকেরা মানুষ গড়ার কারিগর। অথচ তারাই বিগত সময়ে নানাভাবে বৈষম্যর শিকার হয়েছেন। উর্ধ্বগতি দ্রব্যমূল্যর বাজারে একজন বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দুইমুঠো ভাত শান্তিতে তারা খেতেও পারেন না। বাংলাদেশে সরকারী শিক্ষকদের সাথে নিজের সন্তানের মত আচরণ করা হলেও বেসরকারীদের ক্ষেত্রে বিমাতা সুলভ আচরণ করা হয়। সরকারী চাকুরীজীবিরা বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা, বোনাস, ইনক্রিমেন্ট সহ নানা সুযোগ সুবিধা খুব সহজে পেয়ে থাকেন। আমরা বেসরকারী চাকুরিজীবিরা তাদের অর্ধেকেরও কম পাই। এ যেন এক দেশে দুই নীতি। অবিলম্বে বেসরকারী (মাধ্যমিক ও মাদরাসা) শিক্ষকদের জাতীয়করণ ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবী করেন বক্তারা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা।পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অভিমুখে রওনা হন। পরে সেখানে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যেমে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল কাদের। পরে তিনি স্মারকলিপিটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রত প্রেরণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করবেন বলে শিক্ষকদের আশ্বস্ত করেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত