একশো কোটি টাকার প্রণোদনার দাবি

পঞ্চগড়ে চা আইন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত    

  পঞ্চগড় থেকে মোঃ কামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৮ |  আপডেট  : ৬ মে ২০২৪, ০২:৪৯

দেশের উত্তরাঞ্চলের সম্ভাবনাময় চা শিল্পকে বাঁচাতে একশ কোটি টাকার প্রণোদনা দাবি করে ৫০ কোটি ক্ষুদ্র চা চাষীদের প্রত্যেক কেজির জন্য পাঁচ টাকা করে,এক কোটি করে জ্বালানি সহ বিদ্যুতের জন্য ২৮ টি কারখানাকে বরকে কোটিকরে ২৮ কোটি, চা নার্সারী উৎপাদিত প্রত্যেক চারার জন্য পাঁচ টাকা হিসেবে নার্সারী মালিকদের ১০ কোটি এবং প্রশিক্ষণ, তদারকি ও মনিটরিংএর জন্য ১২ কোটি টাকা চা বোর্ডকে প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে।

গত বহস্পতিবার পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত‘উত্তরাঞ্চলের চা শিল্পের সম্পৃক্ত অংশীজনদের সাথে চায়ের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ করণীয় ও চা আইন-২০১৬ অবহিতকরণ’ বিষয়ক কর্মশালায় এসব সুপারিশ করা হয়েছে। 

এছাড়া প্রণোদনার পাশাপাশি নিলাম মার্কেটে সর্বনিম্ন প্রতি কেজি তৈরি চাপাতার মূল্য ১৭০ টাকা নিধারর্ণ, কালোবাজারে অবৈধ ভাবে চা বিক্রি বন্ধ, কাঁচা চা পাতার মূল্য বৃদ্ধি, নানা অজুহাতে কাঁচা চা পাতার কর্তনবন্ধ, বিনামূল্যে প্রুনিং, প্লাকিং মেশিন প্রদান করার সুপারিশ ও করা হয়েছে।কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম বলেন, গুনগতমান সম্পন্ন চা উৎপাদনের বিকল্প নেই। অবৈধভাবেচাবিক্রি বন্ধ, সবাইকেচাআইন মেনেচলারআহবানজানিয়েবলেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ মান অনুযায়ী নিলাম মার্কেটে তৈরি চা পাতার মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। গত বছর দেশে ১০৩ মিলিয়ন চাউৎপন্ন হয়েছে। 

যাঅভ্যন্তরীণচাহিদারতুলনায়প্রায় ১৫ মিলিয়নচা বেশিউৎপন্নহয়েছে। বিদেশে চারপ্তানিবাড়াতে পারলে চা শিল্পের বিরাজমান সংকট কেটে যাবে। প্রণোদনারবিষয়টিবিবেচনাধীনরয়েছে উল্লেখ করে চা চাষীদের প্রশিক্ষণ অব্যাহত আছে, প্রুনিং, প্লাকিং মেশিন দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো দেওয়া হবে। চায়ের ক্রান্তিকালে ব্যবসায়ীরা লাভবানহচ্ছে। উৎপাদকরা দাম পাচ্ছেনা। সবাই যেন যৌক্তিকভাবে আনুপাতিক হারে সুবিধা পায় সে লক্ষ্যেই চা বোর্ড কাজ করছে। তিনি উত্তরাঞ্চলে চায়ের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদন, চা আইন-২০১৬ যথাযথ ভাবে অনুসরণ করে চা উৎপাদন,প্রক্রিয়াজাত করণ, ও বিপননের ওপর গুরুত্বারে  করেন। এছাড়া সবুজ চাপাতার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির বিষয়ে চা বোর্ড আন্তরিক ভাবে কাজ করছে। চাআইন মেনে চলারআহবান জানিয়ে বলেন, কেউ আইন ভঙ্গ করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে আইন অমান্য করায়কয়েকটিকারখানারলাইসেন্স ও ওয়্যারহাউজেরলাইসেন্সবাতিলকরাহয়েছে। আরোবাতিলকরারপ্রক্রিয়াচলছে। 

জেলাপ্রশাসনেরসহযোগিতায়বাংলাদেশচা বোর্ড আয়োজিতএ কর্মশালায়স্মল টিগার্ডেনওনার্স অ্যান্ডটি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি আমিরুলহক খোকন, কারখানা মলিকদের পক্ষে নিয়াজ আলী চিশতি, মনসুর আলী,মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেনপ্রধান, চা বাগানমালিক রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক শহীদুলইসলাম শহীদ ও সরকার হায়দার বক্তব্য দেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রিয়াজউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। 

কর্মশালায়চা বোর্ডের কর্মকর্তা,চা বাগান মালিক, কারখানা মালিক, ক্ষুদ্র চাচাষী, ব্রোকার হাউস ও ওয়্যার হাউজ প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মী সহ চা এর সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলে উপস্থিত ছিলেন।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত