নির্মাণের এক মাসেই ভেঙ্গে যাচ্ছে কোটি টাকার সড়ক
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১৮:২০ | আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:০৪
মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক নির্মাণের এক মাসের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। এজিং ভেঙে হুমকির মুখে পড়েছে নির্মাণাধীন সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়ক। এতে করে নষ্ট হচ্ছে রাষ্ট্রী সম্পদ।
মাদারীপুর সদর উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে,এডিপির অর্থায়নে মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর লঞ্চঘাট থেকে জাফরাবাদ সড়কের সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয় এক মাস আগে। সড়কের নির্মান ব্যয় ধরা হয় প্রায় দুই কোটি টাকা।
সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই কোনও কোনও স্থানে কার্পেটিং উঠে এজিং ভেঙে গেছে। কাজে নিম্ন মানের ইট, খোয়া, পাথর, বালু ব্যবহার করার কারণে বিভিন্ন স্থানে সড়ক উঁচু নিচু হয়ে দেবে গেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এছাড়াও পাকা সড়কের দুই পাশে কমপক্ষে ৩ ফুট মাটি থাকার কথা। অথচ অধিকাংশ সড়কেই এই নিয়ম মানা হয়নি।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন অংশের এজিং ভেঙে খালের ভেতরে চলে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, কয়েক দিন আগে একটি ট্রাক গেছে। সেই চাকায় সড়করে বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেছে। সড়ক নির্মাণের এক মাসের মধ্যেই ভেঙ্গে গেছে। মুলত নি¤œমানের কাজের কারনেই ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে নির্মাণ করছে সড়ক অথচ এখনই ভেঙ্গে গেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষের উচিত তদন্ত করে ঠিকাদেরর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া। এভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করা ঠিক নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘সড়ক নির্মাণের কয়েকদিন পর বিভিন্ন স্থান গর্ত হয়ে দেবে গেছে। অনেক স্থান উঁচু নিচু হয়ে গেছে। কাজ করার সময় ঠিকাদার সঠিক নিয়মে ইট বালু ব্যবহার করেননি। পুরাতন ইট তুলে তার ওপরে বিটুমিন (পিচ) ঢেলে রোলার দিয়ে ঠিকমতো সমান না করেই কার্পেটিং করায় রাস্তার এই অবস্থা হয়েছে।’
সড়কের ঠিকাদার মো.খোকন এই বিষয় কথা বলতে রাজি হননি। তিনি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সাথে যোগাযোগ বলতে বলেন।
এলজিইডির মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন জানান,যেসব স্থানে ভেঙ্গে গেছে সেখানে মাটি ফেলে মেরামত করা হবে। নি¤œমানের কাজের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত