নির্মান কাজ বন্ধ করে দিলেন এলাকাবাসী
নিন্মমানের উপকরণ দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরী
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৬ | আপডেট : ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৩
বগুড়ার আদমদীঘিতে নিন্মমানের উপকরণ দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরীর অভিযোগে নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কোমারপুর গ্রামে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মান করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর। একাজটি করছে দেওয়ান মামুনুর রশিদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার দেওয়ান মামুন। নির্মান কাজে নিন্মমানের ইট,সিমেন্ট,বালু ও কাজে অনিয়ম করায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় লোকজন গত রবিবার নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
জানাগেছে,উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কোমারপুর গ্রামের পুরনো কমিউনিটি ক্লিনিকটি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় সেটি টেন্ডারের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হয়। এরপর নতুন ভবন নির্মানের জন্য টেন্ডার দেয়া হলে দেওয়ান মামুনুর রশিদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজটি পায়। সম্প্রতি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন নির্মান কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। কাজ শুরুর প্রথম দিকে ভালো মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করলেও পরবর্তী সময় থেকে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছিল ঠিকাদার। সেখানে এক নাম্বার ইটের পরিবর্তে ব্যবহার করছে তিন নাম্বার ইট ও নিন্মমানের সিমেন্ট। এছাড়া নিমার্ণাধীন ক্লিনিকের মেঝে ঢালাইয়ে খোয়া ব্যবহার ছাড়াই বালু ও পরিমানের চেয়ে কম সিমেন্টের সংমিশ্রন কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি গত (১০ সেপ্টেম্বর) রবিবার ভবনের মেঝে ঢালাই এ ইট খোয়া ব্যবহার না করে শুধু বালু দিয়ে ঢালাই কাজ শুরু করলে স্থানীয় লোকজন নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়। কোমারপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের দাতা সদস্য আকবর হোসেন বলেন, সিডিউল মোতাবেক যেভাবে কাজ করার কথা ছিল সেভাবে কাজ করা হচ্ছে না। ইট খোয়া ছাড়াই মেঝে ঢালাই করা হচ্ছে। তিনটি সিঁড়ি করার কথা থাকলেও তা এক দিকে করা হয়েছে।
একই ধরনের অভিযোগ করে ওই ক্লিনিকের সি এইচ ই পি বিমল কুমার বলেন, প্রথমে ভালো ইট দিয়ে কাজ করলেও পরে খারাপ ইট দিয়ে তারা কাজ করছিল। এলাকাবাসী বাঁধা দেওয়ায় তারা কাজ বন্ধ রাখে। পরে এলাকাবাসীর অনুপস্থিতিতে তিন নাম্বার ইট ব্যবহার করেই তারা কাজ চালিয়ে যায়। কোমাপুরের সাবেক ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ মন্ডল বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করছিল ঠিকাদার। তাকে ভালো মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কথা বল্লেও তিনি তা করেননি। সর্বশেষ মেঝে ঢালাই কাজে ইটের খোয়া ব্যবহার না করে সরাসরি বালুর উপরে ঢালাই দেওয়াই এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাঁধা দিলে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।
এ বিষয়ে ঠিকাদার দেওয়ান মামুন বলেন, এলাকাবাসী কাজটা বন্ধ করেনি। কাজটা আমরা নিজেই বন্ধ করেছি। ইট ভাটা থেকেই খারাপ ইট দেওয়ার কারণে কাজ আপাতত বন্ধ আছে। কিছুদিনের মধ্যেই ভালো মানের ইট দিয়ে আবার কাজ শুরু হবে। মেঝে ঢালাইয়ে অনিয়ম ও নিন্মমানের ইট দিয়ে কেন কাজ করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে খারাপ কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার পরিদর্শন করেছে। তাই কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। বগুড়া স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে আমি ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত