নিজ দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানালেন বেলারুশ দৌড়বিদ ক্রিস্তিয়ানা!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২ আগস্ট ২০২১, ০৯:১০ |  আপডেট  : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৫

নিজ দেশের বিরুদ্ধে গুরতর অভিযোগ তুললেন বেলারুশ দৌড়বিদ ক্রিস্তিয়ানা সিমানোসকায়া। তিনি জানিয়েছেন, কোচদের সমালোচনা করায় অলিম্পিক শেষ না করেই তাকে জোর করে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছিল। বিমানবন্দরে জাপান পুলিশের কাছে আশ্রয় নিয়ে অস্ট্রিয়া বা জার্মানিতে অ্যাসাইলামের চেষ্টা করছেন ত্রিস্তিয়ানা। অভিযোগ অস্বীকার করে তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলছেন বেলারুশ অলিম্পিক কমিটি।
 
অভূতপূর্ব কান্ড টোকিও অলিম্পিকে। বিগেস্ট শো অন আর্থে পারফর্ম করতে এসে দেশে না ফেরার আকুতি এক অ্যাথলেটের। তিনি বেলারুশিয়ান স্প্রিন্টার ক্রিস্তিয়ানা সিমাাসকায়ার। নিজ দেশের অলিম্পিক কমিটির বিরূদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। জোর করে দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্দেশ্যে রোববার (১ আগস্ট) নিয়ে যাওয়া হয় টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে। 

কিন্তু ক্রিস্তিয়ানার শঙ্কা দেশে ফিরলে হুমকির মুখে পড়তে পারে তার জীবন। তাই কৌশলে বিমানবন্দরে জাপান পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলে তাকে নিরাপত্তা দেয়া হয়। সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন এ বেলারুশ স্প্রিন্টার।

ক্রিস্তিয়ানা জানান, সোমবার ২০০ মিটার স্প্রিন্টে তার অংশ নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ইনস্টাগ্রামে কোচদের সমালোচনা করায় তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়। ইচ্ছের বিরুদ্ধে ৪ গুণিতক ৪০০ মিটার রিলেতে নাম অন্তর্ভূক্তির প্রতিবাদ করেন প্রকাশ্যে।

তিনি বলেন, 'আমাদের কিছু মেয়ে রিলেতে অংশ নিতে পারেনি। তাই কোচ না জানিয়ে আমার নাম অন্তভূক্ত করে দেন। সবার সামনে আমি প্রতিবাদ করি। তারপর বলা হয়, উপরের নিদের্শে আমাকে বাদ দেয়া হয়েছে।'

ক্রিস্তিয়ানার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেলারুশ অলিম্পিক কমিটি। উল্টো তাকে বলা হচ্ছে মানসিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসকের পরামর্শেই নাকি বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত।

জাপান পুলিশের সহযোগিতায় নিরাপদ স্থানে আছেন ক্রিস্তিয়ানা সিমোনাসকায়া। অস্ট্রিয়া বা জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় চান তিনি। আইনি সহায়তা দেবার জন্য ছুটে যান জাপানের শরনার্থী বিষয়ক আইনজীবী তোমোকো উরাকি। 

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছেও সহযোগিতা চেয়েছেন ক্রিস্তিয়ানা। আইওসি ঘটনা খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ক্রিস্তিয়ানা আরও বলেন, 'মনে হচ্ছে আমি এখন নিরাপদ। পুলিশের সঙ্গে আছি। আমি বেলারুশ ফিরে যেতে চাইনা। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই আমি।'

২৫ বছর ধরে বেলারুশ অলিম্পিক কমিটির নেতৃত্বে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ও তার ছেলে ভিক্টর। অ্যাথলেটদের সঙ্গে সেচ্ছাচারী আচরণের অভিযোগে দুজনকে আগেই নিষিদ্ধ করেছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসক হিসেবে কুখ্যাতি রয়েছে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত