নানা আয়োজনে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ‘র জন্মবার্ষিকী উদযাপন

  বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১৯:১১ |  আপডেট  : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৪

বাগেরহাটে নানা আয়োজনে প্রেম ও দ্রোহের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ‘র ৬৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে জেলার মোংলা উপজেলার মিঠাখালীতে রুদ্র স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংসদ চত্বর একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে কবির সমাধিস্থলে পুস্পমাল্য অর্পন করেন ভক্তরা। দুপুরে রুদ্রের বাড়িতে দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং সাধারণ মানুষের মাঝে মিস্টি বিতরণ করেন কবির পরিবারের সদস্যরা। বিকেলে বিকালে মিঠাখালী ফুটবল মাঠে অগ্রদূত ক্রীড়া চক্র ও ডেউয়াতলা ফুটবল একাডেমির সাথে এক প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। 

এসব অনুষ্ঠানে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, মিঠাখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসান ছোটমনি, রুদ্রের অনুজ সুমেল সারাফাত, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মোংলা শাখার সভাপতি নূর আলম, প্রবীন শিক্ষাবিদ জেমস শরৎ কর্মকারসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মোংলা শাখা ও রুদ্র স্মৃতি সংসদের যৌথ উদ্যোগে মোংলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

মাত্র ৩৫ বছরের জীবনে রুদ্র সাতটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন। কাব্যগ্রন্থগুলো হল, ‘উপদ্রুত উপকূল’ (১৯৭৯), ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ (১৯৮১), ‘মানুষের মানচিত্র’(১৯৮৪), ‘ছোবল’ (১৯৮৭),  ‘গল্প’ (১৯৮৭) ‘দিয়েছিলে সকল আকাশ’ (১৯৮৮) এবং ‘মৌলিক মুখোশ’(১৯৯০)। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী পরিস্থিতিকে অবলম্বন করে তিনি ‘বিষ বিরিক্ষের বীজ’ নামে একটি কাব্যনাট্যও রচনা করেন। এছাড়া তিনি বেশ কিছু গল্প লিখেছেন। 

তার রচিত ও সুরারোপিত  ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’- গানটি দুই বাংলায় অসম্ভব জনপ্রিয়। ১৯৮৭সালে তসলিমা নাসরীনের সাথে বিচ্ছেদের পর মোংলায় বসে তিনি এ গানটি রচনা ও সুরারোপ করেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত