নভেম্বরের শুরুতে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমার আশা স্বাস্থ্য অধিদফতরের
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২২, ১২:৩৮ | আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭
সারাদেশে শহর থেকে গ্রামে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এর পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ডেঙ্গু রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চলতি মাসের শেষ দিকে অথবা নভেম্বরের শুরুতে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমতে পারে বলে আশার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তবে এ সময় বৃষ্টিপাত হলে তার ব্যত্যয়ও ঘটতে পারে। বৃষ্টিপাত না হলে খুব দ্রুতই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূলে এবং এটিডিস নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
নাজমুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সচেতনতার অভাবেই এবার ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়েছে। এছাড়া যথাসময়ে চিকিৎসকের কাছে না আসা এবং অবহেলার কারণেই ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
রোগী বাড়লেও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই পরিচালক বলেন, হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যথাসময়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু অনেক কমে আসবে।
dengue-2প্রতিবছর বর্ষাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
চলতি বছরের বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটা কম থাকলেও সম্প্রতি তা ভয়াবহ আকারের দিকে যাচ্ছে। কখনো কখনো আক্রান্ত ও মৃতের রেকর্ড ভাঙছে। এমন পরিস্থিতি মানুষ শঙ্কিত আছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত