নন্দীগ্রামে পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

  নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৯ জুলাই ২০২১, ২০:১৬ |  আপডেট  : ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৫২

বগুড়ার নন্দীগ্রামে পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। পাশাপাশি চলছে দোতরফা খাজনা আদায়। যার কোনো তদারকি নেই বললেই চলে। হাটে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তাদের ভূমিকা দর্শকের মতো। সারাদেশে কঠোর লকডাউন চলছে। লকডাউনে দোকানপাট খোলা ও লোক সমাগম ঠেকাতে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ মাঠে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার (৯ জুলাই) নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা পশুর হাট বসে। সেখানে কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। রণবাঘা পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক সমাগমে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হয়। কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের লক্ষ্যে এ হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক সমাগম ঘটে। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা। এতে হতাশ হয়েছে এলাকার সচেতন মহল। 

এছাড়াও রণবাঘা পশুর হাটে ইজারাদারের কর্মচারীর মাধ্যমে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে। গরুর আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খাজনা আদায় করার নিয়ম থাকলেও সেখানে গড়ে ৪০০ টাকা করে প্রতিটি গরুর খাজনা আদায় করা হচ্ছে। যা রণবাঘা পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। এ হাটের পাশেই বসেছে অনেক চায়ের দোকান। সেখানেও অনেকেই বসে চা ও ধূমপান করতে দেখা যায়। পুরো হাটে ব্যাপক স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হয়েছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাতের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশুর হাট বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতেও আমরা তৎপর রয়েছি। হাট বন্ধের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। আর পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করতেও আমরা নিষেধ করেছি। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত