দেবীগঞ্জে ধান ক্ষেতে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, ঘটনাস্থলে তদন্ত ইউনিট

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ধানক্ষেত  থেকে সুলতানা আক্তার রত্না (২০) নামে এক অনার্স পড়ুয়া কলেজ শিক্ষার্থীরমরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রত্না দেবীগঞ্জ মহিলা কলেজের অনার্স  প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ওই গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, যে জায়গায় রত্নার মরদেহ পাওয়া গেছে, কিছুদিন আগেই সেখানে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছিল। জমিতে তখনও পানি ছিল। মরদেহের পাশেই পাওয়া গেছে একটি কাপড়ের ব্যাগ, যার ভেতরে ছিল পরনের কাপড় ও দুটি সেদ্ধ ডিম। রত্নার এক হাতে মোবাইল ফোনের কাভার ধরা ছিল, তবে ফোনটি পাওয়া যায়নি।

নিহতের বড় ভাই মামুন ইসলাম জানান, “আমি সকাল ছয়টায় বাসা থেকে কাজে বের হই। সাতটার দিকে প্রতিবেশী কাওসার তার জমিতে আগাছানাশক দিতে গিয়ে ধানখেতে এক তরুণীকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। তার চিৎকারে ছুটে গিয়ে দেখি, সেটা আমার বোন। কোলে তুলে বাসায় নিয়ে আসি।”

রত্নার বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, “রাত ১২টার দিকে আমি বাইরে থেকে বাসায় ফিরি। তখন রত্না আমাকে ভাত বেড়ে দেয়। রাত দেড়টা পর্যন্ত আমি জেগে ছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মেয়ের ঘরের দরজা খোলা। স্ত্রী জানায়, রত্না ঘরে নেই। এর কিছুক্ষণ পর খবর পাই, ধানখেতে এক মেয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। গিয়ে দেখি, সেটি আমার মেয়ে।”

খবর পেয়ে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রত্নার গলায় দাগ ছিল। তবে শরীরে আর কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

দেবীগঞ্জ থানার উপ- পরিদর্শক  (তদন্ত) প্রবীর কুমার সরকার বলেন, “পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। যেহেতু এটি একটি হত্যাকাণ্ড, আমরা বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছি। আশা করছি খুব দ্রুততম সময়ে আসামীদের  করতে সক্ষম হবো।