তেলের দাম কমানোর পর ফেসবুকে যা লিখলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২২, ১৩:৫০ |  আপডেট  : ২২ মে ২০২৪, ০৪:৪১

ডিজেল, পেট্রল, অকটেন ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা করে কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা হচ্ছে নানা দিকে। গতকাল সোমবার রাতে এ সিদ্ধান্ত জানানোর পর অনেকেই বলছেন, দাম কমানোয় তেমন কোনো লাভ হবে না। গতকাল দাম কমানোর সিদ্ধান্তের পরপরই ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সাধারণ মানুষের জন্য বর্তমান দামটাও একটু বেশি হয়ে যায়। তবে প্রতিমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন, বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশেও এর সমন্বয় করা হবে। জনগণকে ধৈর্য ধরতেও বলেছেন তিনি।

৬ আগস্ট থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের লিটারে ৩৪ টাকা এবং পেট্রল ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। এরপর পরিবহন ভাড়া বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ। এর আগে গত নভেম্বরে লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম। ওই সময়েও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ।

গত রোববার ডিজেলে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। প্রত্যাহার করা হয় পাঁচ শতাংশ আগাম কর। কিন্তু বিশ্ববাজারে ডিজেলের দাম এখন ১৪০ ডলারের বেশি। তাই শুল্ক কমানোর পরও ঘাটতিতে আছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন [বিপিসি]।

গতকাল দেওয়া তাঁর পোস্টে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে ডিজেলের মূল্য ছিল প্রতি ব্যারেল ১৪৭ দশমিক ৬২ মার্কিন ডলার। সে অনুযায়ী প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য পড়ে ১২৮ দশমিক ৬১ টাকা। অর্থাৎ ১০৯ টাকা ধরে ডিজেল বিক্রয় করলে প্রতি লিটারে বিপিসির লোকসান হবে ১৯ দশমিক ৬১ টাকা।’

প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, ‘সবাইকে একটা তথ্য জানিয়ে রাখি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিগত ছয় মাসে [ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত] জ্বালানি তেল বিক্রয়ে [সব পণ্য] ৮০১৪ দশমিক ৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।’

দাম কমানোর পর এখন জ্বালানির দাম কত হবে তার তালিকাও তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘আজ [২৯/০৮/২০২২] রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল ১০৯ টাকা লিটার, কেরোসিন ১০৯ টাকা লিটার, অকটেন ১৩০ টাকা লিটার ও পেট্রল ১২৫ টাকা লিটার হবে। দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমল। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশেও আমরা নিয়মিত মূল্য সমন্বয় করব।’

এ দাম কমানোয় শেষ পর্যন্ত যে খুব লাভ হবে না, তা জানান প্রতিমন্ত্রী তাঁর পোস্টে। নসরুল হামিদ লিখেছেন, ‘আমরা এখনো মনে করি সাধারণ মানুষের জন্য বর্তমান দামটাও একটু বেশি হয়ে যায়। সবার প্রতি অনুরোধ একটু ধৈর্য ধরুন। আশা করি এই কঠিন সময় খুব বেশি দিন থাকবে না। জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার কোনো অবস্থায়ই জনগণের কষ্ট হয়—এমন কোনো কাজ করতে চায় না। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের নিরুপায় হয়েই জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের পথ বেছে নিতে হয়েছে।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত