তৃণমূলে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সংগঠন থাকায় করোনা মোকাবিলা সম্ভব হয়েছে
প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৩৬ | আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৫
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কখনই সরকারের পক্ষে এককভাবে করোনার মতো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব না। আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে একটাই কারণে যে, তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মতো শক্তিশালী সংগঠন আছে। আর এ কারণেই আমরা করোনার মতো অতিমারির ভয়াবহতা মোকাবিলা করতে পেরেছি।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সভা শুরু হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ৫৩ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক সচরাচর চার মাস বা দুই মাস পর করতাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেগুলো সময় মতো করতে পারেনি। এখন করোনা কিছুটা কমেছে। এছাড়া আমি গতবার জাতিসংঘের অধিবেশনে যেতে পারিনি। এবার যাচ্ছি। তাই মনে করলাম একটা সভা করি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সামনে, আর সংগঠনটাও আমাদের করতে হবে। করোনাভাইরাসে আমাদের সংগঠন এবং সহযোগী সংগঠন যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেটা কিন্তু অন্য কোনো রাজনৈতিক দল করেনি। তারা মূলত কেউ দাঁড়ায়নি, তাদের কোনো আগ্রহ ছিল না।’
করোনা মহামারিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সবাই একযোগে কাজ করেছে বলে তাদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সরকারের প্রত্যকে প্রতিষ্ঠানই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। কখনই সরকারের পক্ষে এককভাবে করোনার মতো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব না। আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে একটাই কারণে যে, তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মতো শক্তিশালী সংগঠন আছে। আর এ কারণেই আমরা করোনার মতো অতিমারির ভয়াবহতা মোকাবিলা করতে পেরেছি। জানি এ কথা হয়তো কেউ লিখবেও না, বলবেও না। কিন্তু আমি বলব যে, এককভাবে কখনও সরকারি লোক দিয়ে সবকিছু সম্ভব হয় না।’
শেখ হাসিনা সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতা আছে আমাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করার। অতীতে আমাদের কী অবস্থা ছিল? ৭৫ এর পর থেকে ৯৬ পর্যন্ত কী অবস্থা ছিল? সেটা যেন তারা একটু উপলব্ধি করে। কিছু কিছু ভাড়াটে লোক আছে, যারা সারাক্ষণ একটা না একটা বলতেই থাকবে। যে যা বলে বলুক, আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। আমরা সেই বিশ্বাস নিয়ে চলেই দেশটাকে গড়ে তুলব।’ তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসব। আজকে কিন্তু বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ।’
সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বলেই দেশের মানুষ সুফল পাচ্ছে বলে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশে গৃহহীন-ভূমিহীনদের জন্য বাড়ি করে দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘প্রায় দেড় লাখের মতো ঘর নির্মাণ করা হলেও মাত্র ৩০০টি ঘরে ত্রুটি ধরা পড়েছে। এর মধ্যে কিছু ঘর ষড়যন্ত্রকারীরা হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ভেঙে গণমাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছে। তাদের সব রিপোর্ট আমরা পেয়েছি।’ রিপোর্টগুলো এখন তার হাতে বলেও জানান তিনি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত