তালতলী ইউপি নির্বাচন, নৌকা প্রত্যাশী ইউসুফ আলী হাওলাদার

  বরগুনা প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৩৬ |  আপডেট  : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২০

বরগুনার তালতলী উপজেলার ৫ নং বড়বগী ইউনিয়ন থেকে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী উন্নয়নকর্মী, সমাজসেবক ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউসুফ অালী হাওলাদার। তিনি দীর্ঘদিন বড়বগী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে আগাম নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, ইউসুফ আলী হাওলাদার এক জন ত্যাগী রাজনীতিবিদ। তার রয়েছে দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষ। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু মানুষের সেবার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ নং যুগ্ম সম্পাদক।

জানা যায়, ১৯৮২ সালে মঠবাড়িয়া কে এম লতিফ ইন্টটিউশনে জাতীয় নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ এর হাতে রাজনৈতিক শিক্ষা ও স্কুল ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বচিত হন। পরে আমতলী কলেজে ভর্তি হয়ে মরহুম নিজাম উদ্দিন আহমদ এর স্নেহধন্য ইউসুফ আমতলী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৯০ সালে যখন সাড়া বাংলায় ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় এবং সকল ছাত্র সংগঠন এক হয়ে ছাত্র ঐক্য গড়ে তোলে তখন নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি ছাত্র ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব নির্বচিত হয়ে এরশাদ এর পতন ঘটায়।

পরে আমতলী উপজেলা ছাত্র লীগের সন্মেলন হলে একক সমার্থন থাকলেও তালতলী বাড়ি এই অযুহাতে সাধারণ সম্পাদক না করে তাকে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করেন। এক বছর পরে নির্বচিত সম্পাদক দ্বায়ীত্ব সঠিক ভাবে পালন না করায় ইউসুফ হাওলাদার কে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এবং আমতলী উপজেলা শেষ সন্মেলন এ তিনিই দ্বায়ীত্ব নিয়ে সন্মেলন করে নতুন কমিটির হাতে দ্বায়ীত্বটা বুঝিয়ে দেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা জানান, ১৯৯১ দিকে তালতলীতে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। তালতলী এসে বিশাল ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলেন ইউসুফ। প্রথম সন্মেলন এ সাধারণ সম্পাদক ও পরের সন্মেলন এ সভাপতি নির্বচিত হন। ছাএলীগ ছেড়ে যুবলীগ এর সদ্স্য সচিব হন।

এর ই মধ্যে তালতলী থানা আওয়ামী লীগের সন্মেলন হলে সেই কমিটির দপ্তর সম্পাদক করা হয়। এর পরের সন্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হলেও অরাজনৈতিক নেতা দের কাছে ক্ষমতা চলে যায়। এবং তাকে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

দেশে যখন জঙ্গিদের কবলে পরে তখন শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী কমিটি করা হয়। সে কমিটি তে ইউসুফ হাওলাদার কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। রাজধানীর বাহিরে ও ভিবিন্ন সামাজিক শিক্ষা প্রতিস্ঠান গড়ে তোলেন তিনি।
 
ধীরেন্দ্র দেব নাথ শম্ভু নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বড় বাড়ি হাফিজি মাদ্রাসা, তালুকদার পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কে এমপিও ভুক্ত করা ও দীর্ঘ দিন ঐ প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও হরিন খোলা মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ঢাকাস্থ বরগুনা জেলা সমিতির সংগঠনিক সম্পাদক। পটুয়াখালী বরগুনা উন্নয়ন ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক এর দ্বায়ীত্ব পালনসহ অনেক সামাজিক কর্মকাণ্ডে সাথে যুক্ত রয়েছে। করোনা মহামারি তে গবির অসহায় মানুষের মাঝে নগত অর্থ বিতরণ করেন।

বিভিন্ন গ্রামে আগাম গণসংযোগকালে এলাকাবাসীর উদ্দেশে ইউসুফ হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আমি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে অংশীদার হতে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে দীর্ঘদিনের অবহেলিত বড়বগী ইউনিয়নকে একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরের চেষ্টা চালিয়ে যাব। তিনি অারো বলেন, চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ইচ্ছে নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামের ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করছি। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য ভোট প্রার্থনা করছি। নির্বাচিত হলে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত বড়বগী ইউনিয়ন উপহার দেব এলাকাবাসীকে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত