‘অলস সময় পার করছে সংশ্লিষ্টরা

ডলার সঙ্কট বাংলাবান্ধাস্থল আমদানি ও রপ্তানিতে চাপ নেই

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৫ |  আপডেট  : ৫ মে ২০২৪, ১৮:৫৮

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধাস্থল বন্দরে ডলার সঙ্কটে আশাতীত ভাবে আমদানি রপ্তানি হচ্ছে না। প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও এ সঙ্কট সহসা কাটছেনা। ব্যাংকগুলোতে গিয়ে এলসি খুলতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ছে ব্যবসায়িরা। ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ লেনদেন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ফলে এই স্থলবন্দটির রাজস্ব আয় নিয়ে ও শঙ্কা রয়েছে।

সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ডলার সঙ্কট ও দামে কম বেশি হওয়ায় ব্যাংকগুলো চাহিদা মাফিক এলসি ছাড় করতে পারছেনা।কিছু কিছু এলসি হচ্ছে তাও ধীরগতিতে। এতে উৎসাহ হারাচ্ছে ব্যবসায়িরা।  সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে আমদারি ক্ষেত্রে শুধু পাথর আসছে। তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রায় শূন্য হয়ে আছে ওয়্যার হাউজ। অনেকে অলস সময় পার করছে। এছাড়াও জানা যায়, প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০টি এলসি করাা যেতো ।এখন সেখানে সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩টি করা যায়।    

এদিকে সেখানকার শ্রমিকরা জানান, এতে তাদের আয়ও কমে গেছে। কয়েকজন শ্রমিক বলেন আগে প্রতিদিন ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা আয় হতো। এখন ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা হয়। এতে সংসার চলে কি করে! অথচ এক সময় অভ্যন্তরের ওয়্যার হাউজ ও সড়কে ও ট্রাকের চাপে লোক চলাচল কষ্টকর ছিল। তা এখন নেই বললেই চলে।

অপরদিকে বাংলাবান্ধাস্থলবন্দর আমদানি রপ্তানি কারক গ্রুপ এর সাধারন সম্পাদক মো. কুদরত –ই- খুদা মিলন অবস্থা ভালো না। আমদানি রপ্তানি একেবারে কমে গেছে। ডলার সঙ্কটে ব্যাংক এলসি দিতে পারে না। প্রায় বছর ধরে এ অবস্থা আর ডলারের দর কখন কি দাম তাও বলা মুশকিল। 

এ ব্যাপারে বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট ইনচার্জ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন‘এ বন্দরে ইতিপূর্বে প্রায় সাড়ে তিনশত ট্রাক পন্য আমদানি হতো এবং ৪০/৫০ ট্রাক রপ্তানি হতো। এখন শুধু পাথর আমদানি হচ্ছে। অন্যান্য কর্মাশিয়াল আইটেম আসতো সেগুলো এখন নাই বললেও চলে।তিনি আরো বলেন এটির সুনিদিষ্ট কারণ জানি না।বিশেষ করে এলসি অনেক কম হচ্ছে। আমরা যতোটুক শুনেছি ডলার মার্কেটে অস্থিরতা বিরাজ করছে।এই অস্থিরতা কেটে গেলে আবার আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক হবে।
 

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত