টেপামধুপুরে তিস্তা নদীতে নিখোঁজ বাস হেলপারের ৫দিনেও সন্ধান মেলেনি
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২১, ১৬:১৩ | আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২১:১৬
কাউনিয়ায় তিস্তা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ৫দিন পেরিয়ে গেলেও মোঃ শামীম মিয়া (কালু) (১৯) এর সন্ধান মেলেনি।
গত সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে গাড়ীর চালক ও সুপারভাইজারের সঙ্গে তিস্তা নদীতে গোসল করতে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়। শামীম মিয়া কালু ঢাকার মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত আজমের ছেলে। সে মৌমিতা পরিবহনের হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় মৌমিতা পরিবহনের চালক রাসেল মিয়া মঙ্গলবার একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন বলে নিশ্চিত করেন কাউনিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুমুর রহমান।
মৌমিতা বাসের চালক রাসেল মিয়া জানান, ঈদের আগের দিন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নে তিস্তার নদী তীরবর্তী চর গনাই গ্রামে গার্মেন্টস কর্মীদের রির্জাভ যাত্রী হিসেবে নিয়ে আসেন তারা। ঈদের পর ঢাকায় ফেরার কথা থাকলেও সরকার ঘোষিত লকডাউনে গাড়ী সহ আটকা পরেন তারা। সোমবার দুপুর আড়াই টার দিকে তিস্তা নদীতে বাস চালক, সুপার ভাইজারসহ গোসল করতে নেমে স্রোতের টানে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায় হেলপার শামীম মিয়া।
পরে কাউনিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল আসেন উদ্ধার অভিযানে। তারা ৫ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ শামীমের কোনো সন্ধান পায়নি। মুঠোফোনে নিখোঁজ শামীমের খালু মোঃ বুলু মিয়া জানায়, একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শামীমের মা এখন বাকরুদ্ধ। তার বাবা না থাকায় সে বাস হেলপারের কাজ করে সংসারের খরচ বহন করতো। নিখোঁজ ছেলের লাশের সন্ধানে মা এখন প্রহর গুনছেন।
কাউনিয়া ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মোঃ শাহিন সরকার বলেন, সোমবার দুপুরে শামীম নামের এক বাস হেলপার নদীতে নিখোঁজ হয়। আমাদের কোনো ডুবুরি দল না থাকায় রংপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে দুই সদস্যের ডুবুরি দল আসেন উদ্ধার অভিযানে । নদীতে খুব স্রোত থাকায় ৫ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে নিখোঁজের সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাতে অন্ধকার হওয়ায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত