জেন–জি এখন তরুণ, আলফারা শিশু, ২০২৫ থেকে শুরু হলো জেন-বেটা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৮ |  আপডেট  : ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:১৯

হাসিনার পতনের পর দেশে বেশ জনপ্রিয় শব্দ হয়ে জেন-জি শব্দটি। যার পূর্ণরূপ হলো জেনারেশন-জেড। এরপর আসে জেন-আলফা। তবে ২০২৪ সাল বিদায়ের মাধ্যমে শেষ হয়েছে জেন-আলফা যুগের। এখন নতুন বছর ২০২৫ সাল থেকে যারা জন্ম নেবে তাদের অভিহিত করা হবে জেন-বেটা হিসেবে। এটি চলবে ২০৩৯ সাল পর্যন্ত।

সাধারণত ২০ থেকে ২৫ বছর, অর্থাৎ দুই যুগের মতো সময় ধরে একটি প্রজন্ম গড়ে ওঠে। যদিও তাদের শুরু ও শেষের বছরটি বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নির্ধারিত হয়। প্রযুক্তিগত ক্রমবিবর্তন, বিশ্বায়ন ও সভ্যতার উন্নয়নও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি প্রজন্মের নামকরণ এবং এর শুরু ও শেষের সময়সীমা কোনো সরকারি কমিশন বা গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত নেয় না। বরং বিভিন্ন নাম ও জন্মসাল হিসাব করে প্রস্তাব করা হয় এবং কিছুটা এলোমেলো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মিডিয়া ও জনপ্রিয় কথাবার্তায় ধীরে ধীরে ঐকমত্য গড়ে ওঠে। যেহেতু প্রজন্ম প্রায়ই নির্দিষ্ট ঘটনা দ্বারা গঠিত হয়, তাই তাদের মান ও সময়সীমা কখনো কখনো এক দেশ থেকে অন্য দেশে পৃথক হয়।

জেন-জি - মোটাদাগে এটা নিশ্চিত, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের ভেতর যাঁদের জন্ম, তাঁরাই হলো জেন-জি বা জেনারেশন জেড। বর্তমানে এই প্রজন্মের সদস্যদের বয়স ১৩ থেকে ২৮ বছর।

আলফা - এদের জন্মকাল ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ গতকাল পর্যন্ত যে জন্ম নিয়েছে, সে এই প্রজন্মের সদস্যা। সেই হিসেবে আলফা প্রজন্মের বর্তমান বয়স ১ দিন থেকে ১৩ বছর। এদের মা-বাবারা আবার জেনারেশন ওয়াই বা মিলেনিয়াল প্রজন্মের সদস্য। এই প্রজন্ম এখনো শিশু এবং এদের আচরণগত বৈশিষ্ট্য ও পরিসংখ্যান এখনো নির্ধারিত হয়নি। এই প্রজন্মের সবচেয়ে বয়সীরা আজ টিন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।

বেটা - রোমান সংখ্যা দিয়ে গননা শুরু হওয়া আলফা প্রজন্মের পর ২০২৫ এর ১ জানুয়ারি যে শিশু জন্ম নিল, সে হবে জেন–বিটা বা জেনারেশন বিটা। ২০২৫ থেকে ২০৩৯ সাল পর্যন্ত জন্ম নেওয়া শিশুরা হবে এই প্রজন্মের। এ প্রজন্মের শিশুরা বেড়ে উঠবে তথ্য–প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে। যাঁদের বাবা–মায়েরা মিলেনিয়াল অথবা জেন–জির শুরুর দিকে জন্ম নেওয়া। বিটা প্রজন্মের মূল লড়াই হবে এআইয়ের (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) সঙ্গে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রজন্মকে শেখায় শেপ দেবে মূলত এআই।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, জেন- বেটার সময়কালে যারা জন্ম নেবে তাদের অনেকে বাইশ শতক দেখবে। এছাড়া তারা প্রত্যক্ষ করবে বিস্তৃত এবং নতুন নতুন প্রযুক্তির বিকাশ। সঙ্গে বিশ্বে জলবায়ুর যে পরিবর্তন ঘটছে, সেটি তাদের সময় আরও পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। এছাড়া এই প্রজন্মটি জেন-আলফার পর দ্বিতীয় প্রজন্ম যাদের সবাই একুশ শতকে জন্ম নিতে যাচ্ছে।

সামাজিক বিশ্লেষক, জনসংখ্যাবিদ ও অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাকক্রিন্ডেল বলেছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ হবে এই জেন-বেটার মানুষ।

তিনি আরও বলেছেন, জেন-বেটা প্রজন্ম বিশ্বের জনসংখ্যায়ও ব্যাপক পরিবর্তন দেখবে। কারণ পৃথিবীতে এ মুহূর্তে জন্মহার কমে গেছে। অপরদিকে বেড়েছে আয়ুস্কাল। অর্থাৎ তাদের সময় বিশ্ব এতটা জনবহুল থাকবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত