জাহাঙ্গীরের মেয়র পদ থাকবে কি না, দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২১, ১৩:৫৪ |  আপডেট  : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১২

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‌কটূক্তির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার জেরে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ হারানো জাহাঙ্গীর আলমের মেয়র পদ থাকবে কি না, তার আইনগত দিক পর্যালোচনা করে দেখছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরের মেয়র পদ থাকবে কি না, তার আইনগত দিক পর্যালোচনা করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। দুই-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারে।’

 সচিবালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরের বিষয়ে আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে, আরও দুই-একদিন সময় লাগবে। তারপরই বলা যাবে যে ওনার অবস্থান কী হবে? আইনগত দিক দেখার আগে এখনই বলা যাচ্ছে না তার বিষয় কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এসময় তিনি আরও জানান, জেলা পরিষদ আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়ররা জেলা পরিষদের সদস্য হবেন।

দল বহিষ্কার করলে মেয়র পদ যাবে, এমন বিষয় স্থানীয় সরকার আইনে বলা নেই। জাতীয় সংসদেও দেখা গেছে দল থেকে বহিষ্কার করার পরও একাধিক ব্যক্তি তার সংসদ সদস্য মেয়াদের পুরোটা পার করেছেন।

তবে স্থানীয় সরকার আইনে এমন কিছু বিধান আছে, যে কারণে জাহাঙ্গীরের মেয়র পদ ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। যদি ক্ষমতাসীন দল তার বিরুদ্ধে মামলা করে এবং সে মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়, যদি তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরের সমর্থন হারান এবং তারা যদি অনাস্থা আনেন, তাহলে জাহাঙ্গীরের মেয়র থাকা অনিশ্চিত হয়ে যাবে।

আইন করার মধ্য দিয়ে দেশে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরু হয় ২০১৬ সালে। সিদ্ধান্ত হয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের প্রার্থী দিতে পারবে দলীয় প্রতীকে। সে বিধান অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে প্রথম দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়। এরপর একে একে দেশের সব সিটি করপোরেশনে দলীয় প্রতীকে ভোট হয়।

২০১৮ সালের ২৭ জুনের ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর।

স্থানীয় সরকার আইনে বলা আছে, ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করলে সরকার, লিখিত আদেশের মাধ্যমে মেয়র বা কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করতে পারবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত