ছুটির দিনে শিমুলিয়া ঘাটে উপচেপড়া ভিড়
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২১, ১৯:২১ | আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৩
কঠোর বিধিনিষেধ তোয়াক্কা না করে মুন্সীগঞ্জেরশিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে শুক্রবার উপচেপড়া যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহন পদ্মা পাড়ি দিয়েছে। আটদিন ধরে চলা বিধিনিষেধের প্রতিদিনই দেখা দিচ্ছে বিধিভঙ্গের একইচিত্র।
শুক্রবার সকাল হতে নৌরুটের সচল ৯টি ফেরিতে বৈরী আবহওয়ার মধ্যেও পারাপার হচ্ছে শতশত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি । শুধুমাত্র জরুরি ও লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও একেবারে মানা হচ্ছে না নিয়ম। ঘাটের অভিমুখে পুলিশের চেকপোস্ট ও ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও যাত্রীরা দেখাচ্ছেন নানা অজুহাত। বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসা ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ অন্যদিনের চেয়ে বেশি রয়েছে।
এদিকে, ফেরিতে যাত্রীদের চাপ ও জড়োসড়ো অবস্থানের কারণে উধাও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। শিমুলিয়াঘাটে পৌছে ঢাকামুখী যাত্রীরা সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে রওনা হচ্ছেন ঢাকার গন্তব্যে। এতে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে দুই-তিনগুন বেশি ভাড়া। যাত্রীদের একই দাবি, জীবিকার জন্য কর্মস্থলে আর নানা রকম প্রয়োজনের তাগিদেই ছুটছেন তারা।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, এ নৌরুটে ছোটবড়ো মিলিয়ে ৯টি ফেরি সচল রয়েছে। শুধু মাত্র জরুরি গাড়ি পারাপারেই ফেরি চালু রয়েছে। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী যাত্রীর সংখ্যা কম। তবে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আগত প্রতিটি ফেরিতেই চাপ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ৩ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে পাঁচ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ঘাটে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ জানান, যাত্রীরা নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। অনেকে অসুস্থ, কেউ বিদেশ যাবে, কেউ টিকা নেবে, কারো পরিবারের সদস্যের মৃত্যু হয়েছে, কেউ মোবাইল ফোন কোম্পানির নেটওয়ার্ক বিভাগে করছে। কিছু লোক বলছেন, তাদের অফিস থেকে কল এসেছে তাই তারা যাচ্ছেন। যদি এমনি কেউ ঘুরতে আসে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে, অযৌক্তিক কারণে নদী পারের চেষ্টা করলে তাদের পুশব্যাক করা হচ্ছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত