চেক ডিজঅনার নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চায় রাষ্ট্রপক্ষ
প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:০৯ | আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৭
চেক ডিজঅনার মামলায় কোন ব্যক্তিকে জেলে পাঠানো সংবিধানের পরিপন্থী বলে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ও এ সংক্রান্ত রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) আবেদন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি বলেন,আমরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছি। চেম্বারজজ আদালতে এই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট চেক ডিজঅনার মামলায় কোন ব্যক্তিকে জেলে পাঠানো সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেছেন, কোন ব্যক্তিকে তার ব্যক্তি স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা সংবিধান পরিপন্থী। নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট আইনের চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত মামলায় কোন ব্যক্তিকে কারাগারে বন্দি রাখা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হরণের নামান্তর।
চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা নিষ্পত্তি করে রোববার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালত নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট আইনের ১৩৮ ধারা সংশোধন করে চেক ডিজঅনার মামলায় জেলে পাঠানোর বিধান বাতিল করার জন্য জাতীয় সংসদকে পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট আইনের ১৩৮ ধারা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত চেক ডিজঅনারের মামলা নিষ্পত্তির জন্য একটি গাইড লাইন করে দিয়েছেন।
হাইকোর্ট রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, চেক ডিজঅনার মামলায় কোন ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো, কারাগারে রাখা সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী এবং ইন্টারন্যাশনাল কভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিকাল রাইটসের অনুচ্ছেদ ১১ এর পরিপন্থী। বাংলাদেশ-এর স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে চেক ডিজঅনার মামলায় কোন ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠাতে পারে না।
আদালত উন্নত বিশ্বের উদাহরণ টেনে বলেন, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে চেক ডিজঅনার মামলায় জেলে পাঠানোর বিধান নেই। এসব দেশে চেক ডিজঅনারের মামলাগুলোকে দেওয়ানি প্রকৃতির মামলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট আইনে ১৯৯৪ সালে প্যানেল কোড সংযোজনার মাধ্যমে আধা-ফৌজদারি হিসেবে পরিণত করা হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত