ঘন কুয়াশায় কনকনে শীতের ঠান্ডায় কাঁপছে মাদারীপুর

  শফিক স্বপন, মাদারীপুর

প্রকাশ: ৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:২১ |  আপডেট  : ১৬ মে ২০২৪, ১৫:০৩

শীতল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় কনকনে শীতের ঠান্ডায় কাঁপছে মাদারীপুর। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ। রেহাই পাচ্ছে না পশু-পাখিরাও।গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। 

মাদারীপুর কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জৈষ্ঠ্য পর্যাবেক্ষক আব্দুর রহমান সান্টু জানান, শনিবার মাদারীপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামী কয়েক দিন আরও কমতে পারে। গত তিন দিনের মধ্যে এটাই সর্বনিন্ম তাপমাত্রা। তবে দু’ তিন দিন পর তাপমাত্রা বাড়লেও পুরো জানুয়ারি জুড়ে আরও শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।

কনকনে ঠান্ডার কারণে জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী অববাহিকার সাড়ে পাঁচ শতাধিক চরের মানুষ। এর মধ্যে শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ি, সন্নাস্যীরচর, চরজানাজাতের মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছেন। এর আশ-পাশ জুড়েই পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদী। তাই সরকারীভাবে শীতবস্ত্র দাবী করেছেন এলাকাবাসী।

সদর উপজেলার পাঁচখোলার লোকমান শিকদার বলেন, ‘খুব সকালে খেজুর গাছের রস নামাতে হয় আমাকে। কিন্তু কনকনে ঠান্ডা ও শিরশির বাতাসের কারণে মুশকিল হয়ে পড়ছে। ঠান্ডায় শরীর জমে আসছে। এবার সববে বেশি শীত এখনই মনে হচ্ছে। এমন চললে আর খেজুর গাছ কাটা যাবে না। খুব কষ্টে দিন কাটছে আমাদের।’

শহরের সুমন হোটেল এলাকার বাসিন্দা কাজী রফিকুল ইসলাম অপু বলেন, ‘ঠান্ডার কারণে দু’দিন কাজে যাইনি। ঘরে খাবার নেই। তাই নিরূপায় হয়ে কাজে বের হয়েছি। গরম কাপড় নেই। কিন্তু ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। আগে শীত আসলে অনেকে কম্বল দিতো, এখন তেমন দেয় না। প্রশাসন থেকেও কোন সহযোগিতা পাই না।’

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, জেলার পাঁচটি উপজেলার ৫৯টি ইউনিয়ন আর চারটি পৌসভায় ইতোমধ্যে ৩১ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে এক লাখ ২০ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। যেগুলো আবার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত