গাজীপুরে মাদ্রাসাছাত্রকে পরিকল্পিতাভবে হত্যার অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪৩ |  আপডেট  : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০০

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্র মাহাথির মোহাম্মদ হিমেল খানকে (১৩) পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর পুকুরে ফেলা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তার মামা শামীম আহমেদ। গত রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে তিন জনকে আসামি করে এই অভিযোগ করা হয়।

কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়নের নগরভেলা এলাকার নগরভেলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার পুকুর থেকে হিমেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে পূবাইলের হারবাইদ এলাকার প্রবাসী কবির খানের ছেলে। ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। 

অভিযুক্তরা হলেন—পূবাইলের তালটিয়া এলাকার মৃত হাছেন আলীর ছেলে মাদ্রাসার মুহতামিম (পরিচালক) মুফতি মুহাম্মদুল্লাহসহ ও তার দুই সহযোগী।


শামীম আহমেদ জানান, গত শনিবার পুকুর থেকে হিমেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর সুরতহাল প্রতিবেদনে পানিতে ডুবে মৃত্যুর কথা উল্লেখ থাকলেও তার মৃত্যু কোনও আঘাতে বা অন্য কারণে হয়েছে কিনা তা জানতে চেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেছে পুলিশ।  

অভিযোগপত্রে শামীম আহমেদ উল্লেখ করেছেন, মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি জহির উদ্দিন খন্দকার শনিবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টায় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে জানান, হিমেল অসুস্থ, তাকে নিয়ে তিনি মৈনারটেক এলাকার এস্টার হাসপাতালে যাচ্ছেন। আপনিও (শামীম) আসেন। খবর পেয়ে ওই হাসপাতালে যাওয়ার পথে বিকাল সাড়ে ৪টায় স্থানীয় তেরমোখ সেতুর ওপরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে হিমেলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে থাকা মাদ্রাসার মুহতামিম (পরিচালক) মুফতি মুহাম্মদুল্লাহ কাছে হিমেলের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। ওই সময় তারা অ্যাম্বুলেন্সে করে হিমেলের লাশ মাদ্রাসায় নিয়ে যান। পরে মাদ্রাসায় গেলে অন্য ছাত্ররা জানায়, হিমেলকে মৃত অবস্থায় মাদ্রাসার পুকুর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল (মাদ্রাসা) থেকে লাশ করে থানায় নিয়ে যায়।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা হিমেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মাদ্রাসার পুকুরে ফেলে দেয়। পরে হত্যার ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিতের চেষ্টা করে তারা ওইসব নাটক সাজিয়েছে।

অভিযুক্ত নগরভেলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিম (পরিচালক) মুফতি মুহাম্মদুল্লাহ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মধুসূদন পান্ডে বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের পর রবিবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত