গাংনীতে দাফনের দুই বছর পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২২, ১০:২৪ | আপডেট : ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৬
মৃত্যুর দুই বছর পর আদালতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামানের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে গাংনী উপজেলার চান্দামারী গ্রামে কবরস্থান থেকে মরদেহ তুলে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানান, আসাদুজ্জামান আসাদ ঔষুধ কোম্পানীতে চাকুরির সুবাধে চুয়াডাঙ্গা শহরে ভাড়া বাসাতে থাকতেন। সেসময় তার স্ত্রীর সাথে নরশিংদীর হুমায়ন কবিরের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। এনিয়ে পারিবারিক অশান্তী দেখা দেয়। আসাদ স্ট্রোক করে মারা যায় বলে খবর পায় পরিবার। নিহতের ভাই লিটন জানান, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ দিবাগত রাতে খবারের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যা করে স্বামী আসাদুজ্জামানকে। হত্যার পরপরই মিথ্যা নাটক সাজাই স্ত্রী লোপা। স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে প্রচার করেন লোপা। পরদিন তার ভাইয়ের লাশ দাফন করা হয় গ্রামের কবরস্থানে। কিছুদিন যেতে না যেতেই লোপা ও তার পরোকীয়া প্রেমিক হুমায়ন কবীর বিয়ে করে ফেলেন। এই সময়ে নিহত আসাদুজ্জামানের পরিবারের লোকজনের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে লোপার বড় মেয়ে তাবাচ্ছুম তার মা লোপা ও পরোকীয়া প্রেমিক হুমায়ন কবীরের কিছু কল রেকর্ড উদ্ধার করে। এরপর আসাদুজ্জামানের ভাই লিটন বাদী হয়ে লোপা ও তার পরোকীয়া প্রেমিক হুমায়ন কবীরকে আসামী করে ২০২১ সালের ৩ মার্চ চুয়াডাঙ্গা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২১, তারিখ ০৩/১২/২০২১ ইং।
এরই প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত হোসেনের উপস্থিতিতে সদর থানা পুলিশের একটি টীম কবর থেকে আসাদুজ্জামান আসাদের মরদেহ উত্তোলন করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার তদন্ত অফিসার (ওসি তদন্ত) আবু সাইদ জানান, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহ ডিএনএ করে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ মামলায় একজন আটক আছে। তবে তার স্ত্রীকেও আটক করা হবে বলে তিনি জানান।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত