খুলল মিশরের রাফাহ ক্রসিং, প্রাণ বাঁচানোর জন্য দলে দলে গাজা ছাড়ছে মানুষ  

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০৯ |  আপডেট  : ২১ মে ২০২৪, ১৭:৫৬

হামাস, মিসর ও ইসরায়েলের সাথে কাতারের মধ্যস্ততার পর তিন সপ্তাহের বেশি সময় পর এই প্রথম গাজা ছাড়ার সুযোগ পাচ্ছেন অবরুদ্ধরা। প্রথমবারের মতো তিনশোর বেশি বিদেশি পাসপোর্টধারী ব্যক্তি ও গুরুতর আহত রোগী নিয়ে ২০টির বেশি অ্যাম্বুলেন্সও সীমান্ত পার হয়ে মিসরে প্রবেশ করেছেন।

জানা গেছে, এসব অ্যাম্বুলেসে ইসরায়েলের হামলায় গুরুতর আহত ফিলিস্তিনিরা রয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফিল্ড হাসপাতালে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে।বুধবার (১ নভেম্বর) গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো গাজা থেকে বের হওয়ার মিসরের রাফাহ ক্রসিং খুলল। খবর রয়টার্সের।

রাফাহ ক্রসিং খোলার কয়েক মিনিট আগে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি বলেন, বিদেশী নাগরিকদের প্রথম একটি দল’ গাজা ত্যাগ করবে বলে তিনি আশা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি লিখেছেন, ব্রিটিশ নাগরিকরা বের হতে সক্ষম হওয়ার সাথে সাথে যুক্তরাজ্যের দলগুলো তাদের সহায়তা করতে প্রস্তুত।

রয়টার্সের প্রতিবেদন জানা গেছে, প্রথম ধাপে ৫০০–এর মতো বিদেশি নাগরিক এবং ৮৮ জন আহত ফিলিস্তিনিকে মিসরে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। কারিগরি ত্রুটির কারণে গাজা অংশে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাসপোর্ট যাচাইয়ের কাজ করা যাচ্ছে না। সে কারণে একজন কর্মকর্তা হাতেই পাসপোর্ট পরীক্ষা করে ফিলিস্তিন ছাড়ার অনুমতি দিচ্ছেন। গাজা উপত্যকা ছেড়ে যাওয়ার তালিকায় যাদের নাম আছে, শুধু তাদেরকেই মিসরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার পরে একেকটি দলকে বাসে করে মিসরের অংশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর সেখানে প্রত্যেকের পাসপোর্ট যথাযথভাবে যাচাই করা হচ্ছে।

যদিও মানুষকে সরিয়ে নেয়ার জন্য এই ক্রসিং ঠিক কতক্ষণ খোলা থাকবে তার কোনো সময়সীমা বলা নেই। বিদেশী সরকারগুলো বলছে, ৪৪টি দেশের পাসপোর্টধারী, সেই সাথে জাতিসংঘের সংস্থাগুলি সহ ২৮টি সংস্থা গাজা উপত্যকায় বাস করছে। যেখানে ২.৪ মিলিয়ন মানুষ গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে লাগাতার ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ সহ্য করেছে৷

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত