খাদ্যপণ্যের দাম কমায় নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৮.৮৫ শতাংশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৫২ |  আপডেট  : ৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৫

পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে নভেম্বর মাস শেষে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। গত মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে। সবজিসহ নানা খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে বলে দাবি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। 

সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেন।তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ১০ ও আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। নভেম্বর মাসে খাদ্যপণ্যের দাম কমে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ হয়েছে, গত মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নভেম্বর মাসে অত্যন্ত ভালো খবর পেয়েছি। গতমাসের তুলনায় মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বরে আরও কমার সম্ভাবনা আছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান, শাক সবজি হওয়ার পাশাপাশি তেল-গ্যাসের দাম বিশ্বব্যাপী কমায় সার্বিকভাবে প্রবৃদ্ধিও সাত শতাংশে যাবে, এমন আশাবাদ পরিকল্পনামন্ত্রীর।

তিনি বলেন, তেল-গ্যাস সরকার নিজে কিনে বিক্রি করে, সরকার কোনো মহাজন নয়। এটা নিয়ে লাভ করবে না। বিশ্ববাজারে দাম কমলে অবশ্যই সরকার কমাতে বাধ্য হবে। মূল্যস্ফীতি পরিমাপকের সূচকগুলো পর্যালোচনা করবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এমন কিছু পণ্য যা নিত্য প্রয়োজনীয় না, তা এ তালিকায় রাখা হবে কি না ভাবা হবে। মূল্যস্ফীতির বাড়ন্ত ভাব নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করতে চেয়েছিলেন, এখানে তা হয়নি। ম্যানেজমেন্ট পরিচালনা করার কারণে সম্ভব হয়েছে।

ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি আরও কমবে জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, গত তিন মাসে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি হ্যাট্রিক হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় আমাদের দেশে অবশ্যই এর প্রভাব পড়বে। আমাদের ধান ও সবজি উৎপাদন ভালো হয়েছে। সরকার জ্বালানি কেনে এবং বিক্রি করে। সামাজিক ও বাস্তব কারণে দাম বাড়াতে হয়। বিশ্ববাজারে দাম কমলে আজ হয় কাল আমাদের দেশে দাম কমবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে ৪২২টি পণ্যের ওপর মূল্যস্ফীতি যাচাই করা হয়। এখন সেগুলো আবার পুনর্বিবেচনা করা হবে। কেননা এখানে সোনার দামও ধরা হয়েছে। সোনার দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়ে। এছাড়াও মাখন ও কফিসহ এ রকম অনেক পণ্যের দামও ধরা হয়। এগুলো সংশোধন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৩১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

নভেম্বরে মজুরি হার শতকরা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। কৃষিখাতে মজুরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। শিল্প খাতে মজুরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। সেবা খাতে মজুরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত