কুতুপালং বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২ এপ্রিল ২০২১, ১১:০৬ |  আপডেট  : ৮ মে ২০২৪, ১১:০৯

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াল অগ্নিকাণ্ডের ১০দিনের মাথায় এবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং বাজারের একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আগুনে পুড়ে তিনজন মারা গেছেন। তারা দোকানের কর্মচারী বলে খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উখিয়ার কুতুপালং ১০ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক-১০ (জি)'র বাসিন্দা সৈয়দ আলমের ছেলে আনসারুল্লাহ (২০), একই ক্যাম্পের রেজাউল করিমের ছেলে ফরিদুল ইসলাম (২৫) ও আমান উল্লাহর ছেলে মুহাম্মদ আয়াছ (২২)। তারা তিনজনই দোকানের কর্মচারী ও রোহিঙ্গা নাগরিক।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ড কুতুপালং এলাকার সদস্য ও বাজার কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন।

তিনি জানান, শুক্রবার রাত তিনটার দিকে কুতুপালং বাজারে আগুন লাগার খবর পেয়ে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেয়া হয়। স্টেশনের দলনেতা ইমদাদুল হকের নেতৃত্বে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। তবে, ধারণা করা হচ্ছে কয়েলের আগুন হতে এর সূত্রপাত। কাপড়ের দোকানসহ সাতটি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ২৫-৩০টি দোকান।

ইউপি মেম্বার আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।’

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ইমদাদুল বলেন, ‘উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন কুতুপালং বাজারের মার্কেটে আগুন লাগার খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ভোর সোয়া ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে তার আগে বেশ কিছু দোকানপাট ও অন্যান্য স্থাপনা ভস্মীভূত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও সহযোগিতা করে। আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ এখনো সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ সোমবার উখিয়ার বালুখালীসহ তিনটি আশ্রয় শিবিরে আগুনে ১০হাজার বসতি পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ছয় শিশুসহ অন্তত ১১জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৪৫০জন, গৃহহীন হয়েছিল ৪৫ হাজার মানুষ। এর ১০ দিনের মাথায় বাজারের এ অগ্নিকাণ্ড আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত