চলো ভাসাই শুকনো নদীর বাঁকে
কাউনিয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীন ঐতিহ্য কলাগাছ ও বাঁশের ভেলা
প্রকাশ: ২ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৬ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১৮
কবি-কাজী ফাতেমা ছবি তাঁর কবিতায় লিখেছেন, হারিয়ে গেছে মিঠেকড়া রোদ ভাসানো কলার ভেলা। চলো ভাসাই শুকনো নদীর বাঁকে, আমাদের সুখের ভেলা বৈঠা মাঝ নদীতে ফেলে, চুপ বসে থাকি, দেখি মনোলোভা ক্ষণ চোখ ঘুরিয়ে খড়খুটোয় আটকা পড়ুক ভেলা, ভাসতে ভাসতে চলে যাক একটি বেলা। বর্ষা ও বন্যার মৌসুমে পারপারের একমাত্র বাহন ছিল কলাগাছ ও বাঁশের ভেলা। গ্রাম বাংলার সেই চিরচেনা কলাগাছ ও বাঁশের ভেলা হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে গেছে খেয়া পারাপার জলজ নদীর বুক।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে বর্ষা ও বন্যার মৌসুমে পারপারের একমাত্র বাহন গ্রামীন ঐতিহ্য কলাগাছ ও বাঁশের ভেলা আর তেমন চোখে পড়ে না। এরপর ও কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের ধুমেকুটি টেপরিকুড়ার বিলে গিয়ে দেখা গেছে কয়েকজন শিশু কলার ভেলা বানিয়ে মনের আনন্দে খেলা করছে। এমন দৃশ্য বর্তমানে তেমন দেখা যায় না। গ্রাম বাংলায় সবচেয়ে সহজ উপকরণ হিসেবে ভেলা তৈরিরতে কলাগাছ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্ষায় শৈশবের দুরন্ত শিশুরা আনন্দ করার জন্য বিভিন্ন রাস্তার ধারের কলা গছা কেটে ভেলা বানিয়ে ঘুরে বেড়াত। আবার বয়স্করা মাছ ধরার জন্য কলা গাছের ভেলা বানাতো। তবে বাঁশ ব্যাবসায়ীরা গ্রামবাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বাঁশ কিনে এনে নদী পথে ভেলা বানিয়ে তাদের গন্তবে নিয়ে যায়। এতে সময় ও কষ্ট বেশি হলেও তাদের অনেক কম টাকায় গন্তবে নিয়ে জেতে পারে। তবে এই বাঁশ ও কলার ভেলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। খুব একটা আগের মত দেখা যায় না। উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া মন্তব্য করে বলেন স্মৃতিতে অম্লন হয়ে আছে সেই হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো। অবশ্য আন্তরিকতা এখনও আছে-তবে আগের মত নয়। বাঙ্গালি বরাবরই ছিল সহজ সরল প্রকৃতির। এই মানুষগুলোর জীবন যাপন-সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক কার্যক্রম অনেক কিছু ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত