৬ ইউনিয়নে ২৮২০ কম্বল বিতরণ

কাউনিয়ায় শীতে কাহিল হতদরিদ্র মানুষ, বাড়ছে শীত জনিত রোগ

  কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:১৩ |  আপডেট  : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৯

কাউনিয়া উপজেলায় একটি পৌরসভা সহ ছয়টি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরা ল সহ বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা তীব্র ঠান্ডা ও কনকনে শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা পড়েছে বিপাকে। ব্যাপক ভাবে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ। 

হঠাৎ করে ভোরে গভীর কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় চরা লসহ বিভিন্ন গ্রাম, এর পর কনকনে ঠান্ডা দেখা দেয়, সকাল ১১টার দিকে একটু সূর্যের মুখ দেখা যায়। মানুষের শরীর বরফ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়। রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে গত বুধবার থেকে তাপমাত্রা উঠা নামা করছে। পৌষ মাসের প্রথম থেকে শীত ও কুয়াশা বাড়তে পারে। সরেজমিনে দেখাগেছে সকালে রাস্তায় হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করতে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী ১৭ টি গ্রামসহ সারা উপজেলার খেটে খাওয়া ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে শীত ও ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতা ও কনকনে ঠান্ডায় শ্বাস কষ্ট, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ডায়রিয়াসহ নানা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিশু ও বৃদ্ধরা শীত জনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। 

এছাড়াও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গরু, ছাগল, মহিষের গাঁয়ে চটের বস্তা ঝুলিয়ে দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে কৃষকরা। তীব্র শীতে হাস, মুরগীর মড়ক দেখা দিয়েছে। শীতে দরিদ্র মানুষেরা কাহিল হয়ে পরলেও সরকারী বা বে-সরকারি ভাবে দেয়া হয়নি পর্যাপ্ত শীত বস্ত্র। চরঢুসমারা গ্রামের কহিনুর ও গদাই গ্রামের রাহেলা আ লিক ভাষায় বলেন, হামাক একনা কম্বল -চাদর দিয়া ঠান্ডা থাকি বাঁচান বেহে, হামরা জারত মরি গেইনো,হামার খবর কায়ো নেয় না বেহে। একই সুরে এমন কথা বলেন এলাকার অনেক দরিদ্র মানুষ। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মীর হোসেন জানান, শীত বৃদ্ধিও সাথে সাথে শীত জনিত রোগির চাপ বৃদ্ধি পয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব সরকার জানান, প্রথম পর্যায়ে ২৮২০ টি কম্বল পেয়েছি যা ৬টি ইউনিয়নে ৪৭০টি করে চেয়ারম্যনদেও দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেবরা তা বিতরণ করেছেন। আশা করছি আরও কম্বল আসবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত