কাউনিয়ায় থলের দোলায় দেখা মিলল বিরল প্রজাতির বক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:১৫ | আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১১
একটা সময় ছিল যখন তিস্তা নদীতে দেখা মিলতো নানা প্রজাতির বক সহ মাছ খেকো বিভিন্ন পাখি। বর্তমানে তিস্তা নদীতে মাছ না থাকায় খাদ্যের অন্বেশনে জলাভূমি থেকে উঠে এসেছে উচু ভুমিতে বিরল প্রজাতীর এক ঝাক বক।
সরেজমিনে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের তিস্তা রেলও সড়ক সেতুর কাছে রাজেন্দ্রবাজার থলের দোলায় দেখা মিলল বিরল প্রজাতীর এক ঝাক বকের। স্থানীয়ারা জানান, গত ২বছর থেকে বিশেষ একটি সময় এই দোলায় এই বিরল প্রজাতির বক গুলোকে এই দোলায় আসতে দেখা যাচ্ছে। তিস্তা নদীতে মাছ না থাকায় খাদ্যের অন্বেশনে হয়তো তারা এই দোলাটিকে বেছে নিয়েছে।
জানাগেছে পৃথিবীতে স্বীকৃত মোট ৬৪ প্রজাতির বক রয়েছে। এসব বকের কিছু প্রজাতি আকৃতিভেদে বগলা ও বগা নামে পরিচিত। বকের খাদ্যতালিকায় রয়েছে মাছ, জলজ পোকামাকড়, চিংড়ি, ব্যাঙ, ব্যাঙাচি, ফড়িং, কচ্ছপের ছোট বাচ্চা, কেঁচো, সাপের ছানা ইত্যাদি।
এছাড়াও ঘাসের বীজ ও শাক-সবজি ও ঘাস খায় বক। বক কমে যাওয়ার প্রধান কারণ অবৈধ শিকার। নদী ও বিলপাড়ের উঁচু গাছবিহীন স্থান ও বিস্তীর্ণ ধানি জমিতে বক ধরার ফাঁদ পাতে শিকারীরা। বক শিকারী সূত্রে জানা গেছে, অনেক মানুষ মনে করেন, বকের মাংস খেলে বাতসহ শরীরের বিভিন্ন ব্যথা দূর হয়। তাই অনেকে বক ধরার আগেই কেনার জন্য টাকা দেন। শিকারিরা ফাঁদ পেতে পোষা বক দিয়ে বক শিকার করেন। কাউনিয়ায় এই বক গুলো দেখার জন্য অনেকেই ভীর করেন। তিস্তা নদীতে অনাবরত চায়না দুয়ারী রিং জাল ও কারেন্ট জাল ব্যবহারের ফলে নদীতে মাছসহ বিভিন্ন প্রাণী আটকা পরে ধ্বংশ হচ্ছে, ফলে বকের সহ পাখিদের খাদ্যর সংকট দেখা দেয়ায় তারা উচু ভূমিতে চলে আসছে। এলাকাবাসী এই বকগুলোর আবাস স্থল ও সংরক্ষনের দাবী জানিয়েছেন।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত