কাউনিয়ায় তিস্তার চরে শাক-সবজি চাষে লাভবান হচ্ছে চাষিরা

  সারওয়ার আলম মুকুল

প্রকাশ: ৩ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৪০ |  আপডেট  : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৫১

কাউনিয়ায় তিস্তানদী বেষ্টিত বিভিন্ন চরাঞ্চলে সমন্বিতভাবে শাক-সবজি চাষে পাল্টে যাচ্ছে নদী তীরবর্তী চরের মানুষের জীবন ও জীবিকা। বিশেষ করে মারা শাক (পাট শাক) চাষকরে বেশী লাভবান হচ্ছে চাষিরা।

কাউনিয়ায় প্রতিবছর বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অসংখ্য পরিবার গৃহহীন হয়। বিনষ্ট হয় চরাঞ্চলের মানুষের বিভিন্ন ফসল। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিনির্ভর পরিবারগুলো। যার ফলে তারা এখন উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদের দাবী তাদের। জানাগেছে মারা শাক (পাট শাক) বাংলার অন্যতম প্রধান একটি শাক। শোনা যায় মিশরের রানী ক্লিওপেট্রা নাকি ত্বক ভাল রাখার জন্য পাট পাতা খেতেন। তবে সেই পাট পাতা মূলত তোষা বা বগী পাট থেকে পাওয়া যেত। বাংলাতে এই পাটের প্রচলন থাকলেও খাদ্যগুণে অল্প হলেও এগিয়ে থাকবে বাংলার দেশি পাট শাকই। দেশি পাট শাক একটু তিতা লাগে আর মারা শাক তিতা লাগেনা ফলে মারা শাকের চাহিদা বেশী। মারা শাক চাষ করা বিশ^নাথ চরের একজন চাষি অলি ব্যাপারি জানান, তিনি মাত্র চার শতক জমিতে মারা শাক চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। অলি ব্যাপারি বলেন, আমার মতো অনেক চাষি চরের জমিতে মারা শাকের পাশাপাশি লালশাক, কলমি শাক, পুই শাক, লাউ শাক, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ চাষ করেছে। তার মারা শাক রোপণে তার মাত্র ২৫০ টাকা খরচ হয়েছে। এ যাবৎ ৩হাজার টাকার শাক বিক্রি করেছি। আরও এক হাজার টাকার শাক বিক্রি হবে বলে আশা তার। বর্তমানে বাজারে শাকের চাহিদা অনেক। চরের পরিত্যক্ত জমিতে এভাবে ঠিকমতো যদি শাক-সবজি চাষ করা যায়, তাহলে অনেক লাভ। কাউনিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন শাক সবজি চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, চরাঞ্চলের মানুষের সমন্বিত কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণসহ সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। 

বন্যাকালীন সবজি উৎপাদন যেন অব্যাহত থাকে এজন্য কমিউনিটি ভিত্তিক সবজি ও বস্তায় আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত