নির্বাচনি উত্তাপ নেই

কাউনিয়ায় জয়ের পথে বিদ্রোহীরাই বড় বাঁধা

  সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২১, ১৮:০৯ |  আপডেট  : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬

বিরোধী দল বিহীন আসন্ন ২৮ নভেম্বর কাউনিয়া উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭৮ জন সাধারণ সদস্য পদে ২০৬ প্রার্থী রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে শেষ দিন ২ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সারাই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে মোঃ আশরাফুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মোঃ আসাদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি থেকে জাহিদুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সোহেল রানা ও কাজী আজহারুল ইসলাম বাবলু, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১৩ জন, সাধারণ সদস্য ৪১ জন, হারাগাছ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে ইয়াছিন আলী বাবু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মোঃ নাজমুল হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ডাঃ মাহফুজার রহমান বসুনিয়া, নূরুল ইসলাম, মোজাহিদুর রহমান বসুনিয়া, আনোয়ার হোসেন, রাজু আহম্মেদ, মোঃ এনামুল হক, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১৩ জন, সাধারণ সদস্য ৩৪ জন। 

কুর্শা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ হোসেন সরকার, ইসলামী আন্দোলনের সাইদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজিদ, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১৪ জন, সাধারণ সদস্য ২৮ জন। শহীদবাগ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে মোঃ আব্দুল হান্নান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মোঃ মোহসীন আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখয়াত হোসেন, মোঃ রমজান আলী, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১২, সাধারণ সদস্য ৩১ জন। বালাপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মোঃ আনছার আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আঃ মজিদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউসুফ আলী, সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল হক, শফিকুল ইসলাম, এডভোকেট মোজাহারুল আলম বাবলু ও সরকার আবু ফেরদৌস মোঃ মহসীন হীরা, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১৬ জন, সাধারণ সদস্য ৩৯ জন। 

টেপামধুপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে মোঃ শফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ নূরুল আমিন, জাতীয় পার্টি থেকে এডভোকেট আমজাদ হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোঃ রাশেদুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১০ জন, সাধারণ সদস্য ৩৩ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হলেও বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করেছে। ২ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির প্রার্থী থাকলেও বাকী ৪ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নেই। হারাগাছ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির ইউনিয়ন সভাপতি আলহাজ্ব ন‚রল হক মাষ্টার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। কোন কোন ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বি ত নেতারা বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। 

হারাগাছ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবং গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডাঃ মাহফুজার রহমান বসুনিয়া, কুর্শা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আব্দুল মজিদ, বালাপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সরকার আবু ফেরদৌস মোঃ মহসীন হীরা, আওমীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল হক, উপজেলা যুবলীগ নেতা ইউসুব আলী, শফিকুল ইসলাম, টেপামধুপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পত্র বাছাই কালে সারাই ইউপিতে সদস্য পদে একজনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। টেপামধুপুর ইউপিতে সংরক্ষিত আসনে মোছাঃ রূপিয়া বেগম বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামীলীগের সাধারণ নেতা কর্মীরা বলেন এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ছড়াছড়ি। আওয়ামী লীগের জয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাই গলার কাঁটা। বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে না গেলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয় লাভে কষ্ট পোহাতে হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোরুল ইসলাম মায়া বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে যারা নির্বাচন করছেন তার দায় তাদেরই নিতে হবে। নির্বাচনে সরাসরি বিএনপির প্রার্থী মাঠে না থাকায় ভোটের যেমন উত্তাপ নেই,তেমনি নেই উৎসব মুখর পরিবেশ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত