কাউনিয়ায় কেন্দ্রীয় শ্মশান তিস্তা নদী গর্ভে বিলিনের পথে, হিন্দু সম্প্রদায়ের আকুতি

  সারওয়ার আলম মুুকুল,কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২১, ১৫:০২ |  আপডেট  : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮

কাউনিয়া উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের শেষ ঠিকানা কেন্দ্রীয় শ্মশান যে কোন মুহুর্তে তিস্তা নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার পথে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শ্মশানটি রক্ষার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেন করেও কোন ফল পাচ্ছে না।

সরেজমিনে উপজেলার নিজপাড়া গ্রামে গিয়ে জানা গেছে কেন্দ্রী শ্মশান না থাকায় আগে যত্র তত্র খালে বিলে নদীর পাড়ে মৃতদেহ সৎকার করা হতো। এতে করে একদিকে যেমন পরিবেশ নষ্ট হতো অন্য দিকে তাদের বেশ বিরম্বনায় পড়তে হয়। হিন্দু সম্প্রদারের জনগনের অনেক চেষ্টার পর ২০০৬ সালে শ্রী রাজেন চন্দ্র এবং শ্রী দিজেন চন্দ্র শ্মশানের জন্য ৬ শতক জমি দান করলে শ্মশানের যাত্রা শুরু হয়। শ্মশানটি হওয়ার পর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মনে আশা জাগে। শেষ সময় পবিত্র একটি স্থানে তাদের সৎকার হবে। কিন্তু বর্তমানে তিস্তা নদী যে ভাবে ভাঙ্গছে তাতে করে শ্মশানটি যে কোন সময় নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রী শ্মশানের পুরহিত শ্রী পরেশ চন্দ্র চক্রবর্তী জানান সরকারী ও স্থানীয় জনগনের সহায়তায় বর্তমানে শ্মাশানটি ৯ শতক জমির মধ্যে করা হয়েছে। এই শ্মশানের সমস্যার অন্ত নাই।

একদিকে নদী ভাঙ্গনের আতঙ্ক, অন্য দিকে আধুনিক ছাওনী না থাকায় চুলা নিভে গিয়ে বিরম্বনার মাঝে পড়তে হয়। শ্মশানের প্রবেশ কারর রাস্তা প্রসস্থ না হওয়ায় লাশ নিয়ে গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না এমন কি পায়ে হেটে যেতেও সমস্যা। ছাওনী না থাকায় সৎকার করতে আসা লোকজন কে ভিজতে হয় অথবা প্রখর রোদে দাড়িয়ে থাকতে হয়। এ সমস্যা গুলো বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি এমপি সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে আবেদন নিবেদন জানান হয়েছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত তেমন কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। শ্মশানের সভাপতি জানান শ্মশানটিকে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসক রংপুর, কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদ করা হয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে পবিত্র কেন্দ্রীয় শ্মশানটির নানা বিধও সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত