লক্ষ্যমাত্র ৪৯৩০ হেক্টর জমি

কাউনিয়ায় আলু রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা

  সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৭ নভেম্বর ২০২১, ১৯:৪১ |  আপডেট  : ১৫ মে ২০২৪, ০৭:২৬

হঠাৎ বন্যায় তিস্তার চরে লাগানো আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বুক ভরা আশা নিয়ে কাউনিয়ায় চরাঞ্চলের চাষীরা আলু রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে। চাষীদের পাশাপাশি গৃহিনী-বধুরাও এ কাজে সহায়তা করছে। করোনা কালে আলুর বাজার প্রায় ৪গুন বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারও বেশি দামে বিক্রির আশায় আলু রোপনে ঝুঁকে পড়েছেন। 

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তিস্তা নদী বেষ্ঠিত চরাঞ্চল সহ বিভিন্ন গ্রামে আগাম জাতের বিনা-৭ ও ব্রি-৩৩, ৩৯, জাতের ধান কাটার পরপরই দ্রুত জমি চাষ-বাস করে আলু রোপন শুরু করেছে কৃষকরা। চরগনাই গ্রামের আলু চাষী দুদু মিয়া, নাজিরদহ গ্রামের আলমগীর হোসেন ও ঢুসমারা চরের কোব্বাত আলী জানান, গত বছরত আগাম আলু লাগিয়ে কিছুটা ভাল দাম পেয়েছি, সেই আসায় এবারো আগাম গ্রান্যুলা, কুপড়ি, ডায়মন্ড, কার্ডিলাল, কারেজ, রাজা, লরা, স্টিক, বগুড়াই দেশীয় শিলবিলাতী আলু রোপন করছি। আগাম আলু রোপন করে হঠাৎ তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দেয়ায় অধিকাংক কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তারপরও নতুন করে ভাল দাম পাওয়ার আশায় আবার আলু রোপন শুরু করেছে। 

হরিশ্বর গ্রামের তোজাম্মেল ও শহীদবাগের চাষী তাজরুল ইসলাম জানান, গত বছর আলু ভাল দাম পেয়েছে, তাই এবারও বেশী জমিতে আলু চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরো জানান পরপর ৩ বার আলু চাষে করে পুঁজি হারিয়ে ঋণ গ্রস্থ হয়েছি। তাই এবার আশা করছি সেই ক্ষতি পুশিয়ে যাবে। গত মৌসুমে কম দামে আলু বিক্রি হওয়ায় হলেও করোনা কালে আলু প্রায় ৪গুন দামে বিক্রি হওয়ায় উপজেলায় এবার আলু চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহনাজ পারভীন জানান, এবারে এ উপজেলায় আগাম জাতের প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে এবং চলতি মৌসুমে উপশি ও দেশী জাতের ৪হাজার ৯শ ৩০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তিস্তার চরা লসহ কিছু কিছু উঁচু জমিতে আগাম আলুর গাছ এখন দৃশ্যমান। সব মিলিয়ে কাউনিয়া উপজেলায় আলু রোপন উৎসব শুরু হয়েছে। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত