কর্তৃপক্ষের নজরে আসে না, কাউনিয়ায় ২০ বছর ধরে এক্স-রে মেশিন অচল

  সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২১, ১৯:৩১ |  আপডেট  : ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৭

উত্তর জনপদের অবহেলিত কাউনিয়ায় প্রায় তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় ৩১শর্য্যা বর্তমানে নামে মাত্র ৫০ শর্য্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ২০বছর ধরে ১টি এক্স-রে মেশিন অচল। এরপর গত ৪বছর আগে আরও একটি মেশিন প্রদান করা হয়েছে সেটিও অপারেটরের অভাবে চলেনা। এছারও মেডিকেলের অধিকাংশ যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার নেই ১০ বছর। করোনা কালে ডাক্তাদের আসা যাওয়া নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। ফলে সরকারের প্রতিশ্রুতি স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দোড়গোরায় পৌছেদেয়া বাস্তবায়ন সঠিক ভাবে হচ্ছে না। বাণিজ্যমন্ত্রীর এলাকায় জনগন বঞ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা থেকে।

সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। জরুরী প্রয়োজনে রোগি নিয়ে তাদের ২৫কিঃমিঃ দুরে রংপুর জেলা সদরে গিয়ে অনেক টাকা ব্যয় করে এক্স-রে সহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হচ্ছে। রক্ত, মল, মূত্র সাধারন পরীক্ষা গুলো এখানে হয় না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে এক্স-রে মেশিনটি স্থাপনের বছর খানেকের মাথায় নষ্ট হয়ে যায়। এরপর বেশ কয়েক বার ভাল করার চেষ্টা করা হয়েছে কিছু দিন চলে আবার নষ্ট হয়ে যায়। মেশিনটি মেরামতের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার চিঠি দিয়েও কাজ হয়নি। পরবর্তিতে গত ৪বছর আগে আর একটি আধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন প্রদান করা হয়েছে কিন্তু সেট্ওি অপারেটরের অভাবে চালান সম্ভব হয়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মীর হোসেন জানান শুধু এক্স-রে মেশিন নয় দীর্ঘ দিন ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেশ কিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে, সে ব্যপারেও কর্তৃপক্ষকে বার বার জানান হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন অগ্রগতি হয়নি। এখানের এক্স-রে অপারেটর কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিপুটেশনে রাখা হয়েছে। এ উপজেলায় ১টি রেলওয়ে জংশন স্টেশন ও রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক হওয়ায় প্রতিনিয়ন দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনায় অনেকের হাত-পা ভেঙ্গে যায় তা সনাক্ত করতে এক্স-রে মেশিন প্রয়োজন, কিন্তু মেডিকেলের ২টি এক্স-রে মেশিন ১টি ২০ অন্যটি ৪ বছর ধরে অচল, ইসিজি ম্যাশিন অপারেটরের অভাবে স্বচল করা সম্ভব হচ্ছে না, রক্ত সংরক্ষনের রিফ্রেজারটি নষ্ট। ৩টি আধুনিক ওটি থাকলেও তা চলে না। ভাল একজন সার্জারী ডাক্তার থাকলেও এন্সেথেসিয়া ডাক্তার না থাকায় গুরুত্বপূর্ন অপারেশ করা সম্ভব হচ্ছে না। টিপু মুনশি এমপির চেষ্টায় কয়েক বছর পর একটি এম্বুলেন্সের পাওয়া গেছে।

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা তারিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান স্বাস্থ্য কপপ্লেক্স এর নানা সমস্যার কথা জেনেছি। জেলা সমন্বয় মিটিংএ বিষয় গুলো সমাধানের জন্য তুলে ধরবো। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারন মানুষ আধুনিক চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বলতে শোনা গেছে বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দোড় গোড়ায় পৌছানোর অঙ্গিকার বাণিজ্যমন্ত্রীর এলাকায় সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এলাকার সাধারন দরিদ্র জনগন দ্রুত এক্স-রে মেশিন সহ প্রয়োজনিয় যন্ত্রপাতি গুলো ভাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকট দুর করে জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত