কচুরিপানা ও বর্জ্য অপসারণে ব্যারিস্টার সুমন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৫ |  আপডেট  : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৯

হবিগঞ্জে নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘বিডি ক্লিনের’ সাড়ে ছয়শ স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে বর্জ্য অপসারণে নামলেন সংসদ সদস্য সুমন।

নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শুক্রবার সকালে ‘বিডি ক্লিনের’ প্রায় সাড়ে ছয়শ স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেন তিনি। দীর্ঘদিনের কচুরিপানায় ঠাসা ও বর্জ্যের স্তূপ হয়ে থাকা এ নদীটি পরিষ্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়ায় স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত সুমন। নির্বাচনে সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে পুরাতন খোয়াই নদীর দীর্ঘদিনের এ জঞ্জাল দূর করবেন। এরই ধারাবাহিকতায় শপথ গ্রহণের কয়েকদিন পরেই বিডি ক্লিনের সদস্যদের নিয়ে কচুরিপানা ও বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করলেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, চুনারুঘাট পৌরশহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পুরাতন খোয়াই নদীটির অস্তিত্ব প্রায় বিলীনের পথে। দখল-দূষণ আর কচুরিপানায় ভরপুর ছিল নদীটি। গত ৪০ বছর ধরে নদীটির উপর দখল আর দূষণ চলছিল। কোনো জনপ্রতিনিধি নদীটি রক্ষায় উদ্যোগ নেয়নি। নদীটির কচুরিপানা ও বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি আগের রুপে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন বলেন, “খোয়াই নদীর কচুরিপানা ও বর্জ্য অপসারণের বিষয়টি নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষণা করেছিলাম। এটি আমার জন্য প্রথম অন্যতম একটি কাজ। এরই ধারাবাহিকতায় বিডি ক্লিনের সদস্যদের নিয়ে কাজটি শুরু করেছি। নদীটিকে আগের রূপে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তারপর উভয় পাশে সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।”

তিনি আরো বলেন, ‘নদীর দুই পাশে ওয়াক হয়ে থাকবে। নৌকা নিয়ে পর্যটকরা নদীতে ঘুরে বেড়াবে। 

বিডি ক্লিনের সমন্বয়ক জহিরুল ইসলাম রবি বলেন, “৫৭টি জেলায় আমাদের সদস্য রয়েছে। আমরা এবার ব্যারিস্টার সুমনের আহ্বানে চুনারুঘাটে এসে খোয়াই নদীর কচুরিপানা ও বর্জ্য অপসারণ করছি; যা করে আমাদের খুব ভাল লাগছে।”

বিডি ক্লিন একটি স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন; যা বাংলাদেশকে পরিচ্ছন্ন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি দেশব্যাপী প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্বাচন করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে থাকে।

 বিকেলে নদী পরিষ্কার শেষে নৌকা দিয়ে মাঝ নদীতে যান তিনি। এরপর নৌকা থেকে লাফ দিয়ে সাঁতরে তীরে আসেন। এদিকে তিন মাসের মধ্যে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশা পরিবর্তন করতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের এই সংসদ সদস্য। 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত