ওমরাহ পালনে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশকে যেসব শর্ত মানতে হবে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২১, ০৮:৫৮ |  আপডেট  : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৫১

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিদেশিদের জন্য সৌদি আরবে গিয়ে হজ ও ওমরাহ পালন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও এবার বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের জন্য ওমরাহ পালনের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে।

আগামী ১০ আগস্ট থেকে বিদেশি মুসল্লিদের সৌদি আরবে গিয়ে ওমরাহ করার অনুমতি দেবে দেশটির সরকার। সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক হারামাইন শারিফাইন নামক অফিসিয়াল পেইজে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে।

তবে এবারে বিদেশ থেকে ওমরাহ পালনে আসতে ইচ্ছুক মুসুল্লিদের ওপর কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সেগুলো হলো:

* ওমরাহ করতে ইচ্ছুক মুসল্লিরা কেবল ৯টি দেশ ছাড়া বিশ্বের সব দেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইটে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবে। ওই ৯টি দেশ হচ্ছে- ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও লেবানন।

* এই দেশগুলো থেকে কোনও মুসল্লি সৌদি আরবে প্রবেশ করতে চাইলে তাদেরকে ওই ৯টি দেশ বাদে তৃতীয় আরেকটি দেশে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে তবেই সৌদি আরবে যেতে হবে।

* ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ ডোজ টিকা নিতে হবে। সেই টিকা হবে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের। এসব টিকার দুটি ডোজ গ্রহণ করা ছাড়া সৌদি আরবে প্রবেশ করা যাবে না।

* কেউ যদি চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকার দুটি ডোজ টিকা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাদেরকে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার বাড়তি বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে হবে।

* ওমরাহ পালনের জন্য ১৮ বছর বা বেশি বয়সীদেরই অনুমোদন দেয়া হবে। এছাড়া সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে স্বীকৃত ওমরাহ এজেন্সির মাধ্যমেই কেবল সৌদি আরবে আসতে পারবেন মুসল্লিরা।

* ওমরাহ পালনে বিদেশ থেকে আসা প্রত্যেক মুসল্লিকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা- যেমন মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়।

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব ধরনের সাবধানতা এবং নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে মেনেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সম্প্রতি বিশেষ শর্ত মেনে সীমিত পরিসরে হজ আয়োজন করে সৌদি সরকার। বাইরের দেশ থেকে কাউকে অনুমোদন দেয়া না হলেও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে হজে ৬০ হাজার মুসল্লি অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে সৌদি নাগরিকদের পাশাপাশি দেশটিতে থাকা ১৫০টি দেশের নাগরিকরাও ছিলেন।

এর আগে গত বছরের পহেলা নভেম্বর থেকে সৌদি আরবের বাইরে বিভিন্ন দেশ থেকেও সীমিত সংখ্যক মুসল্লিদের মসজিদুল হারামে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। তার আগের মাসে অক্টোবরে সৌদি নাগরিক ও বাসিন্দাদের ওমরাহ পালনের অনুমতি পেয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ায় সংক্রমণ এড়াতে তা স্থগিত হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, অন্যান্য বছরগুলোয় সারা বিশ্ব থেকে ২০ লাখের বেশি মানুষ হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় গিয়ে নির্দিষ্ট কিছু ধর্মীয় আচার পালন করতেন। এছাড়া, সারা বছরই ওমরাহ হজ পালন করতে বিশ্বের আরও লাখ লাখ মুসলমান সৌদি আরবে ভ্রমণ করতেন।

হজ হল এমন একটি আনুষ্ঠানিকতা যা প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের সারা জীবনে অন্তত একবার হলেও পালন করতে হয়, যদি তাদের সেই সামর্থ্য থাকে এবং শারীরিকভাবে সক্ষম হন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত